রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, দেশের অন্য সব সরকারি মেডিকেল কলেজে ডাক্তারের অভাব থাকলেও, বিএসএমএমইউতে অতিরিক্ত ডাক্তার রয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও।
বৈঠক শেষে কমিটির কার্যপত্রে মন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশের অনেক হাসপাতালে ডাক্তারের অভাব থাকলেও এখানে অতিরিক্ত ডাক্তার রয়েছে। কিন্তু এখানকার সেবার মান সন্তোষজনক নয়, এটা বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে।
বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন উপাচার্যকে গুরুত্বে সঙ্গে বিবেচনার করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
বৈঠকে কমিটির আরেক সদস্য বলেন, বিএসএমএমইউতে ইন্টার্নসহ ১২০০ ডাক্তার রয়েছেন। এখানে রোগীর সংখ্যাও এতো নেই। তাহলে সেবার মান এতো খারাপ হবে কেন? দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা এখানে আসেন, অথচ সেই মানের চিকিৎসা সেবা পান না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির গত বৈঠকেই বিষয়টি আলোচনায় তোলা হয়েছিল। রোববারের বৈঠকে এসব আলাপের পাশাপাশি নতুন উপাচার্য প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান বিএসএমএমইউ’র সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।
উপাচার্যের উত্থাপিত কার্যপত্রে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীদের সেবার ক্ষেত্রে কিছুটা অভিযোগ রয়েছে, এটা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে নতুন আইসিইউ, আধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও আউটডোর চালু করা হয়েছে। অটিজম রোগীদের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদিত হলেও জায়গার অভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
তার কার্যপত্রে আরও বলা হয়, ডাক্তারদের অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখন ডাক্তারদের উচিত জাতির সেবায় নিজেদের নিবেদিত করা। হাসপাতালে ডাক্তারদের কর্মঘণ্টা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্ধারিত। এই কর্মঘণ্টা অবশ্যই ৮টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হওয়া উচিত। ডাক্তাররা অতিমাত্রায় প্রাইভেট প্র্যাকটিসে লিপ্ত হচ্ছেন।
এ ধরনের প্র্যাকটিস বন্ধ করতে প্রয়োজনে আইন প্রয়োগের কথা বলে এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা চান উপাচার্য।
বৈঠকে বিএসএমএমইউ উপাচার্য ইন্টার্ন ডাক্তারদের ভাতার হার ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার করার প্রস্তাব করেন। পরে মন্ত্রী বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানান।
এসব বিষয়ে কমিটি সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকারের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রী কথার কথা এসব বলেছেন’।
ডা. ইউনুস আলী সরকার বলেন, বাস্তবতা হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা সেবার মান অতো খারাপ না। তবে কিছু সমস্যা তো আছেই। সেসব সমস্যা সমাধান করার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে এক চিকিৎসক লিখেন, “ BSMMU তে কোন ইন্টার্ন থাকে না- এটা না জেনে সংসদীয় কমিটির মেম্বার হয় কী করে? আর সেবার মান শুধু ডাক্তারের সংখ্যার ও উপস্থিতির সমানুপাতিক নয়।
“তার কার্যপত্রে আরও বলা হয়, ডাক্তারদের অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখন ডাক্তারদের উচিত জাতির সেবায় নিজেদের নিবেদিত করা। হাসপাতালে ডাক্তারদের কর্মঘণ্টা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্ধারিত। এই কর্মঘণ্টা অবশ্যই ৮টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হওয়া উচিত।”
এ প্রেক্ষিতে বলতে চাই, কর্মঘণ্টা ৮টা-৫টা হবার সুযোগ নেই, ৮টা-৪টা বা ৯টা-৫টা হতে পারে। কারণ রুটিন কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টার বেশি হবার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু ৮টা-৪টা করলে রোটেশন অনুযায়ী সপ্তাহে ২ দিন ছুটিও দিতে হবে। কারণ ৮টা-৫টা হলে ৬*৯=৫৪ ঘণ্টা হবে যা শ্রম আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
BSMMU এর মত প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক রীতি ফলো করাই উচিত। সেক্ষেত্রে ৯টা-৫টা সপ্তাহে ৫দিন এবং বাকিটা রোস্টার অনুযায়ী- এই পৃথিবীব্যাপী প্রচলিত নিয়মে যাওয়াটাই বেস্ট হবে। এ নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।”
খবরঃ বাংলানিউজ ২৪ ডট কম
আমার চাচা বাড়ির বিড়াল দেখাইয়া বলতো এই বিড়ালই বনে গেলে বনবিড়াল হয়,,,,…:p
hur mia resident k intern banailo kara :O
Ei montritare shoranor jonno ekta bebostha nite hobe.