প্ল্যাটর্ফম নিউজ, ১৫ই এপ্রিল,২০২০
১৯৯৮ সালে সরকার এর কাছ থেকে জমি বরাদ্দ নিয়ে হাতিরঝিলে তৈরি হয় বর্তমান পোশাক মালিকদের সংগঠন ১৬ তলা বিজিএমইএ ভবন। যার কাজ শেষ হয় ২০০৭ সালে। ২০১১ সালে হাইকোর্ট ভবনটিকে অবৈধ ঘোষণার পর, দীর্ঘ আট বছর দফায় দফায় সময় নিয়ে, ভবনটি রক্ষার চেষ্টা ব্যর্থ হয় ১৬ই এপ্রিল ২০১৯ সালে।
হাইকোর্ট ভবনটিকে অবৈধ ঘোষণা করায় ১৬ই এপ্রিল (মঙ্গলবার) ২০১৯ ভবনটি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক। ১৬ তলা এই ভবনটি ডিনামাইট দিয়ে অপসারণ করার কথা জানান রাজউক এর নির্বাহী কর্মকর্তা।
ভবনটি ভাঙ্গার আগে অনেকেই ভবনটি নিয়ে অনেক পরিকল্পনার কথা জানান। কোনোটিই তখন গ্রহনযোগ্যতা পায়নি বরং যথা সময়ে ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছে দৃষ্টিনন্দিত এই ১৬তলা ভবনটির।
বর্তমানে দেশের এই সংকট মুহূর্তে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায়কাজে লাগানো যেতে পারে এই ভবনটি।
এই বিষয়টি নিয়ে, মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. কাউসার উদ্দিন প্ল্যাটর্ফম মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটির অনলাইন পেজে তার ব্যক্তিগত কিছু প্রস্তাবনা প্রকাশ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বলেন।
তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, বিজিএমইএ ভাঙার প্রাথমিক কাজ অলরেডি শুরু হয়েছে। ভাঙার আগে এটাকে
কোভিড-১৯ রোগীদের অস্থায়ী হাসপাতাল হিসেবে কিছুদিন ব্যবহার করা যায় কিনা সে বিষয়ে ভাবার অনুরোধ করছি। অনেক বড় স্পেস, প্রচুর রোগীকে একসাথে সেবাদান সম্ভব এখানে। এতে অন্য যে হাসপাটালগুলো তে অন্যান্য রোগের রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয় তারা এবং তাদের
চিকিৎসকরা ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন। এটার অবস্থানও খুব ভাল জায়গায়, আশেপাশে আছে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ
হাসপাতাল, তাই সেবাদানকারী প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব হবে না। তাদের যাতায়াতও সহজ হবে। পাশাপাশি কাছেই আছে হোটেল সোনারগাঁও,
ইন্টারকন্টিনেন্টাল, সুন্দরবনসহ আরো বেশ কয়েকটি ভাল ভাল আবাসনের ব্যবস্থা। চিকিৎসকরা সুন্দর পরিবেশে থাকতে পারবেন। কারওয়ানয়ান বাজার কাছে হওয়ায় খাবার সাপ্লাইও সহজ হবে। এটা মেইন রাস্তাতেই, অনেক মন্ত্রী আমলাদের বাসাও বেশ কাছাকাছি, মিন্টু রোড, ইস্কাটন, সংসদ ভবন; তাই তারাও মাঝেমাঝে রোগীরা কেমন আছে, ডাক্তাররা ঠিকমত সেবা দিচ্ছে কিনা সেই খোঁজ নিতে আসতে পারবেন।
অনেকেই সহমত জানিয়েছে বিজিএমইএ ভবনটিকে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ব্যবহার করার জন্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক/সিলভিয়া মীম