২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)।
মহামারি আকার ধারণ না করলেও বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল চীন থেকে এখন পর্যন্ত ২৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। রবিবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগের কথা জানিয়ে এই পরামর্শ দেয় আইইডিসিআর।
আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা জানান, “এটি (বিদেশ ভ্রমণে না যাওয়া) কোনো নির্দেশনা নয়। কেবল একটি পরামর্শ। বিশ্বের নানা প্রান্তে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। এখনো পর্যন্ত ভাইরাসটি সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।”
রোববার পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যায় সিঙ্গাপুরে পাঁচ জন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে একজন বাংলাদেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত।
সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আক্রান্ত বাংলাদেশিদের সঙ্গে চীনা নাগরিকদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে প্রতিষ্ঠানটি জানায়।
প্রতিষ্ঠান পরিচালক বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে এমন অনেক দেশে অজানা উৎস থেকে ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। তাই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে না যাওয়ার জন্য আমাদের পরামর্শ থাকবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে ভাইরাসটি যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য জোরদার নজরদারি প্রয়োজন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভাইরোলজির অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, “আমরা লক্ষ্য করেছি সম্প্রতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া অনেকেরই সংক্রমণের উৎস এখনো অজানা। এর অর্থ হলো, আমাদের বিশেষ করে বিমানবন্দর গুলোতে সতর্কতা বাড়াতে হবে।”
নতুন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পরিকল্পনা ঠিক আছে। তবে, এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন। যেকোনো ধরনের অবহেলা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।”
আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিমান, স্থল এবং নৌবন্দরে ১৭ হাজার ২৫৩ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউ এখনো এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন নি বলে জানা যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক/নাহিদা হিরা