ডা. ইমরান কায়েস, বাংলাদেশ বিমানে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন। হঠাৎ যাত্রা পথে সত্তর বছর বয়সী এক ভদ্র মহিলা তীব্র শ্বাসকষ্ট (একিউট এ্যাজমায়) আক্রান্ত হলেন, বিমান তখন মাটি থেকে প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার ফুট উপরে। শ খানেক বার ইনহেলার প্রয়োগ করেও যখন ভদ্র মহিলা নিজেকে স্বাভাবিক করতে না পেরে তীব্র যন্ত্রণায় কোন কূল কিনারা করতে পারছিলেন না, সেই সময় উপস্থিত দক্ষতায় উদারতার পরিচয় দিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইমরান কায়েস।
শ্বাসকষ্টে ভদ্রমহিলার বেহাল দশা, প্লেনে নেবুলাইজার নেই, তবে অক্সিজেন আছে , ফার্স্ট এইড বক্স আছে। এবং সেখান থেকেই খুঁজে খুঁজে ইনজেকশন নিয়ে রোগীর শিরায় প্রয়োগ করে রোগীকে স্বাভাবিক করলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সাবেক ছাত্র ও ঢাকা মেডিকেলের এই ডাক্তার।
ডাক্তারি জীবনের অদ্ভুত এই অভিজ্ঞতা নিয়ে ডা. ইমরান কায়েস তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোষ্ট দেন। তাঁর বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
“লন্ডনগামী বাংলাদেশ বিমানের BG 0001 এর পাইলট ককপিট থেকে বের হয়ে আমার সিটের সামনে এসে হাত মিলিয়ে বললো, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।
ঘটনার আকষ্মিকতায় আমি কি বলবো বুঝতে পারছিনা। আমিও বোকার মতন বললাম থ্যাংক ইউ। ঘটনা হচ্ছে,
ফ্লাইটে সত্তর বছর বয়সী এক ভদ্রমহিলা তীব্র একিউট এজমায় আক্রান্ত হয়েছিলো। প্রায় শ খানেক ইনহেলার পাফ নিয়েছে। লাভ হয়নি।
শ্বাসকষ্টে ভদ্রমহিলা ঠিক করে সিটে বসে থাকতেই পারছেনা। চোখে মুখে তীব্র যন্ত্রণা।
প্লেনে কোন নেবুলাইজার নেই। তবে
অক্সিজেন আছে, ফার্স্ট এইড বক্স আছে।
ফার্স্ট এইড বক্স থেকে খুঁজে খুঁজে ইনজেকশন বের করে, মহিলার ভেইনে পুশ করার পর ব্যাচারী সেটল হলো!
আমরা তখন মাটি থেকে পায় পঁয়ত্রিশ হাজার ফুট উপরে!
ভাবা যায়!
ডাক্তার হিসেবে একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি লন্ডনে পা রাখলাম আজ”
নিজস্ব প্রতিবেদক/ আব্দুল্লাহ আল মারুফ