প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৪ অক্টোবর ২০২০, রবিবার
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ সংকটকে গত মার্চে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৩ হাজার ৮২ জনে এবং তাদের মধ্যে মারা গেছে ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭৪ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় ৭৬ লাখ ৮৪৬ জন আক্রান্ত এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ২৭৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে ৬৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৩ জন করোনার কবলে পড়েছেন এবং এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ১ লাখ ১ হাজার ৮১২ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় এবং মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ১১ জন। এদিকে, ভাইরাসটির পুনরুত্থানের ভয়ের মাঝে বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৩২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ১৮২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৫ জনে। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৪২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৯ জনে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এদিকে, করোনায় মৃতের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৮ হাজার ৮৮০ জন। আর এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৯৫৩ জন। আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১২ লাখ ৪ হাজার ৫০২ জন। আর মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ২৫১ জন।
সুস্থতার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত (৫৫ লাখ ৬ হাজার ৭৩২ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৪৮ লাখ ১৮ হাজার ৫০৯ জন), এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৯ জন) এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সুস্থ হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৪৭৭ জন।