বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচীর আওতায় আফ্রিকার ৩টি দেশে চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক টিকাদান কর্মসূচি।
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশ মালাওয়িতে ইতোমধ্যে ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের এ টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। শীঘ্রই ঘানা ও কেনিয়াতেও এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়, প্রতি বছর আফ্রিকায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ শিশুকে এ টিকা দেয়া হবে।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের জন্য আরটিটিএস বা মসকুইরিক্স নামক এ টিকার মোট ৪টি ডোজ নিতে হবে, ৫ থেকে ৯ মাস বয়সের মধ্যে ৩টি ডোজ এবং ২ বছর বয়সে ১টি ডোজ। ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জি.এস.কে. এর বিজ্ঞানীরা ১৯৮৭ সালে সর্বপ্রথম এই টিকা আবিষ্কার করেন। এরপর থেকে অনেক বছর যাবৎ এর কার্যকারিতা ও উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা চলে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ টিকা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের জন্য মাত্র ৪০% নিরাপত্তা দেয়। তবে আফ্রিকায়, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ২,৫০,০০০ শিশু শুধু ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েই মারা যায়, সেখানে এই ৪০ শতাংশ নিরাপত্তাও অনেক ফলপ্রসু হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ।
ম্যালেরিয়া একটি প্রতিরোধযোগ্য ও প্রতিকারযোগ্য মশাবাহিত রোগ। তবুও প্রতি বছর প্রায় ৪,৩৫,০০০ মৃত্যু ঘটে এ রোগের কারণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডাঃ টেড্রোস এডেনম গিব্রিসস এক বিবৃতিতে বলেন, “মশারি ও অন্যান্য উপায়ে গত ১৫ বছরে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমরা অসাধারণ সাফল্য পেয়েছি। তবে এই অর্জন অনেক ক্ষেত্রেই স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে আমাদের তাই প্রয়োজন নতুন সমাধান আর এই টিকা আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি দিতে সক্ষম।”
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার:
সামিউন ফাতীহা
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর