প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১১ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী,
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩ জন। এর মধ্যে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৪ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে একক দেশ হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। ১০ জুন বুধবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২৪৪ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ২৭৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃতের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য, তবে আক্রান্তের দিক থেকে দেশটির অবস্থান চার নম্বরে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮৯ হাজার ১৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪০ হাজার ৮৮৩ জনের।
আক্রান্ত বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিল মৃত্যুতে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৮ হাজার ৫৪৩ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি, তবে আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান সাতে। ইতালিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৩ জনের।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপের আরও দুই দেশ- ফ্রান্স ও স্পেনও। ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ২৯৬ জনের। আর স্পেনে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৩৬ জনের।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আক্রান্ত বিবেচনায় বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে ভারত। এখন পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮৪ হাজার ৩২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৯৮৯ জনের।
এ পর্যন্ত এশিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজার ৯৩২ জনের। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯ এর উৎপত্তিস্থল চীনের অবস্থান ষষ্ঠ তম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে এবং থামছেনা মৃত্যুর মিছিল।