তার বয়স চার হাজার বছর। খ্রিষ্টের জন্মের ২৭০০ বছর আগে চাইনিজরা তাকে চিনত। গ্রীক বীরেরা বার বার পরাজিত হয়েছে এ দানবের কাছে। শক্তিশালী রোমান সাম্রাজ্যের পতনের অন্যতম কারণ ছিল সে । মিশরীয় ইবার প্যাপিরাসে, সুমেরীয় কিউনিফর্ম ট্যাবলেটে, হিপোক্রেটিসের চিকিৎসা শাস্ত্রে, সংস্কৃত “সুশ্রুতা”য়, শেকসপিয়ারের অন্তত ৮টি নাটকে উচ্চারিত হয়েছে এ নাম না জানা শত্রুর কথা। জনশ্রুতি আছে আলেক্সান্ডার দ্যা গ্রেটের সৈন্য বাহিনীর সাথে এটি ছড়িয়ে পড়েছিল পৃথিবীব্যাপী।
উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় ইউরোপ-আফ্রিকা-এশিয়া-আমেরিকা সব মহাদেশেই সৈন্যবাহিনীর মূল ঘাতক প্রতিপক্ষ নয় বরং ম্যালেরিয়া। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল তখন সাড়া বিশ্ব। ফ্রেঞ্চ আর্মির ডাঃ আলফানসো ল্যাভেরন এ সংগ্রামে প্রথম সফল ব্যক্তি। তিনি ১৮৭৮ সালে আলজেরিয়ার মিলিটারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন । তাঁর জন্য যুদ্ধটা শুধু একটা রোগের বিরুদ্ধে নয়। বিজ্ঞানের ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে নব নব আবিষ্কারকে ভ্রান্ত ধারণা, কুসংস্কার, বৈজ্ঞানিক ভিন্নমতের সাথে সংগ্রাম করতে হয়েছে। ল্যাভেরনকেও লড়তে হয়েছে ম্যালেরিয়া দূষিত বাতাস, জলা-জংলা পরিবেশের কারণে হয় হাজার বছরের এই জনপ্রিয় মতবাদের বিরুদ্ধে। আবার স্বদেশী লুই পাস্তুরের প্রভাবশালী “জার্ম থিওরি”র সঙ্গেও দ্বিমত করার স্পর্ধা দেখাতে হয়েছে। “জার্ম থিওরি”তে প্রত্যেক সংক্রমক রোগের জন্য ব্যাক্টেরিয়া দায়ী-একদল বিজ্ঞানী ব্যাসিলাস ম্যালেরিয়ায়ি নামক কল্পিত ব্যাক্টেরিয়াও আবিষ্কার করে ফেলেছিল। শত শত ম্যালেরিয়া রোগী পর্যবেক্ষণ করে ল্যাভেরন একটা জিনিসই পান তা হল ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কালো রংয়ের একধরনের কণিকা। দু’বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তিনি এই কালো কণিকাই যে একধরনের পরজীবী তা আবিষ্কার করেন(তখনও অণুবীক্ষণ যন্ত্রে রক্ত কণিকা পরীক্ষা করার স্টেইন আবিষ্কার হয়নি)। সমসাময়িক বিজ্ঞানীদের অনেক সন্দেহ, বিতর্কের মধ্যেও তিনি কাজ করে যান, ম্যালেরিয়া শব্দের “দুষিত জলাভূমি”তে এই পরজীবীর অনুপস্থিত নিজেই প্রমাণ করলে, ম্যালেরিয়া পরজীবীর অস্তিত্ব কঠিন বিরোধীতার মুখে পড়ে। অবশেষে ১৮৯৯ সালে অনুবীক্ষণ যন্ত্রে রক্ত কণিকা পরীক্ষার স্টেইন আবিষ্কৃত হলে ল্যাভেরনের আবিষ্কার নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয়। যে পাস্তুর ইন্সটিটিউট ল্যাভেরনের কাজকে স্বীকৃতি দেয়নি তারাই তাঁকে সেখানে প্রটোজোয়া নিয়ে গবেষণার জন্য আমন্ত্রণ জানায়। ১৯০৭ সালে ল্যাভেরন নোবেল পুরষ্কার পান। ম্যালেরিয়ার পরজীবীর একাধিক প্রজাতি বিভিন্ন ধরনের ম্যালেরিয়া(কোয়ারটান/টারশিয়ান) করে-এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেন ইটালিয়ান নিউরোফিজিওলজিস্ট ক্যামেলিও গলগি(তিনিও নিউরোফিজিওলজির জন্যে নোবেল পান ১৯০৬ সালে)।
ম্যালেরিয়ার সাথে দূষিত বাতাস, জলাভূমির সম্পর্কের হাজার বছরের ধাঁধাঁ তবুও অমীমাংসিত থাকে। শত্রু চিনে গেছি আমরা কিন্তু শত্রুর গোপন মারণাস্ত্র তখনও অজানা। পৃথিবীর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো দেশে দেশে তখন হুমকির মুখে। ফ্রেঞ্চ কলোনির চেয়ে বৃহৎ শক্তি তখন একটাই-ব্রিটিশ এম্পায়ার। ব্রিটিশ রাজের সীমানায় সূর্য কখনো অস্ত যায় না-বাংলা বিহার উড়িষ্যা পাটনা দিল্লীর মসনদ সবখানে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিটিশ সাদা চামড়া এ উপমহাদেশে ভয় পেত শুধু দুটো জিনিসকেঃ এক বাংলার বাঘ, দুই ম্যালেরিয়া। ব্রিটিশ প্রশাসনে তোড়জোড় তখন ম্যালেরিয়াকে কিভাবে দমন করা যায়। ইন্ডিয়ান মেডিকেল সার্ভিসের ডাঃ রোনাল্ড রস অন্য সব বিজ্ঞানীর মত শুরুতে ডাঃ ল্যাভেরনের আবিষ্কারে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু ডাঃ রোনাল্ড রসের গুরু স্যার প্যাট্রিক ম্যানসনের(ট্রপিকাল মেডিসিনের জনক বলা হয়) সমসাময়িক একটি আবিষ্কার ডাঃ রোনাল্ড রসকে ম্যালেরিয়া নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করে। স্যার প্যাট্রিক ম্যানসন প্রথম জানান যে জীবাণু(এলিফেন্টিয়াসিস বা গোদঁ রোগ)মানুষকে আক্রান্ত করে সেটা মশার শরীরেও থাকে। ডাঃ রোনাল্ড রস স্যার প্যাট্রিক ম্যানসনের কাজের সূত্র ধরে ডাঃ চার্লস ল্যাভেরনের ম্যালেরিয়া জীবাণু কিভাবে মানুষের দেহে আসে সেটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ইন্ডিয়ান মেডিকেল সার্ভিস তাঁকে মাদ্রাজ থেকে ম্যালেরিয়ামুক্ত অঞ্চলে বদলী করলে তিনি পদত্যাগ করতে চান—নিজ গবেষণার প্রতি এতটাই নিবেদিত ছিলেন ডাঃ রোনাল্ড রস। অবশেষে তাঁকে সরকার একবছরের জন্য ম্যালেরিয়া এবং কালাজ্বর ইনভেস্টিগেশনে বিশেষ দায়িত্বে নিযুক্ত করে। ১৮৯৭ সালে সেকেন্দ্রাবাদে এক এনোফিলিস মশাকে ব্যবচ্ছেদ করে মশার পাকস্থলিতে ম্যালেরিয়ার জীবাণু পান ডাঃ রস এবং পরবর্তিতে পাখির উপর গবেষণা করে প্রমাণ করেন ম্যালেরিয়া জীবাণুর জন্য মশা ইন্টারমিডিয়েট হোস্ট হিসেবে কাজ করে। ডাঃ রোনাল্ড রস ১৯০২ সালে মেডিসিনে নোবেল পুরষ্কার পান। আজ ১০০ বছর পরে আমরা পৃথিবী থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূলের জন্য কাজ করছি তার ভিত্তি রচিত হয়েছিল ডাঃ রোনাল্ড রসের আবিষ্কারের মাধ্যমে। সুয়েজ খাল, পানামা খাল খননের মূল বাঁধা শ্রমিকদের ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাঃ রোনাল্ড রসের শরণাপন্ন হয়েছিল তৎকালীন নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। ১৯০৬ সালে মোট ২৬,০০০ শ্রমিক পানামা খাল খননে কর্মরত ছিল যাদের মাঝে ২১,০০০ জনকে তাঁদের কর্মকালে ম্যলেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল, প্রতি ১০০০ জনে মৃত্যু হার ছিল ১১.৫৯ । পরবর্তিতে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসুচি শুরু করার পর মৃত্যু হার কমে ১.২৩ হয় প্রতি হাজার জনে।
আমেরিকা তখন পৃথিবীবাসীর কাছে এক “নতুন পৃথিবী”-কলম্বাস এবং তাঁর উত্তরসূরি অভিযাত্রীরা আবিষ্কার করেছেন নতুন ভূখণ্ড। অভিযাত্রীদের সাথে দাস প্রথার মহাজনেরা যেমন পা রাখল, এসেছিল খৃস্টান মিশনারিরাও । ধর্মপ্রচার, অশিক্ষিত বর্বর মানুষদের শিক্ষিত সুসভ্য করার পাশাপাশি চিকিৎসার দায়িত্বও নিয়েছিল মিশনারিরা। তাঁরা খেয়াল করলো স্থানীয় ইন্ডিয়ানরা একধরনের গাছের বাকল ব্যবহার করে জ্বরের চিকিৎসায়। যে কাঁপুনি জ্বরে পৃথিবী নাকাল হয়ে আছে সে জ্বর থেকে মুক্ত আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানরা। পেরুর ভাইসরয়ের স্ত্রী, কাউন্টেস ওফ সিনকোন এর জ্বরের চিকিৎসায় সে গাছের বাকল ব্যবহার করেছিল স্প্যানিশ মিশনারিরা । রানীর রোগমুক্তিতে গাছের নামকরণই করা হয় সিনকোনা, পৃথিবী পেল ম্যালেরিয়ার প্রথম অব্যর্থ ওষুধ-কুইনাইন। সাল ১৬৫৮।
একেকজন মিশরীয় রাজার কবর পিরামিড খুঁড়ে পাওয়া যেত বিপুল ধনসম্পদ-ঐশ্বর্য। কিন্তু ইতিহাসের বিখ্যাত চাইনিজ চিকিৎসকদের কবরে পাওয়া যেত তাঁদের চিকিৎসা পদ্ধতির দুর্বোদ্ধ বিবরণ। অধিকাংশেরই মৃত্যুর সাথে তাঁদের জটিল উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি হারিয়ে যেত চিরতরে। তবে মানবজাতির সৌভাগ্য খ্রিস্টের জন্মের ও দুইশ বছর আগে মাওয়াংদুই কবরে চিকিৎসা পদ্ধতির এক সংকলন পাওয়া যায় যাতে ম্যালেরিয়ায় চিকিৎসার এক ঔষধি বৃক্ষের নাম ছিল। ১৯৬৭ সালের দিকে নর্থ ভিয়েতনামের স্বাধীনতাকামীরা চীনের মাও সেতুং কে অনুরোধ করে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় চাইনিজ ভেষজ ওষুধ দেয়ার জন্য, মাও সেতুঙয়ের আদেশে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা গবেষণায় তোড়জোড় শুরু হয়। হাজার বছর পর ১৯৭১ সালে পৃথিবীর মানুষ সেই ঔষধের কথা জানতে পারল তখনকার চীন আমেরিকার পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফর উপলক্ষে।
তৃতীয় যে বিজ্ঞানী ম্যলেরিয়ার জন্য নোবেল পুরষ্কার পান তিনি পল মুলার, চিকিৎসক না হয়েও তিনি মেডিসিনে নোবেল পান ১৯৪৮ সালে। তিনি কীটনাশক হিসেবে ডিডিটির ব্যবহার আবিষ্কার করেছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যা সে সময় হাজার হাজার যোদ্ধার প্রাণ বাঁচিয়েছিল। বলা হত “যত জন মেরিন সেনা জাপানীদের হামলায় মারা গেছে তার চেয়ে বেশি মারা গেছে ম্যালেরিয়াতে, ১ ডিভিশন মেরিন সেনা যুদ্ধের আগেই অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছিল”। মিত্র শক্তি যখন ইউরোপে জার্মানদের পরাজিত করে একের পর এক শহরের দখল নিচ্ছিল তাঁরা আবিষ্কার করে কোটি কোটি শরণার্থী, যুদ্ধবন্দী, দাস, সাধারণ মানুষ পোকা মাকড়বাহিত রোগে জর্জরিত। জার্মান গ্যাস চেম্বার যত মানুষকে হত্যা করতে পারেনি তার চেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞ আসন্ন ছিল। মিত্র শক্তির সৈন্যবাহিনী ডিডিটি স্প্রে করে এরপর সারা ইউরোপ জুড়ে। ইতিহাসে এর আগে কখনো একটা মাত্র রাসায়নিক পদার্থ এত অল্প সময়ে কোটি(আনুমানিক ৫০০ মিলিয়ন) মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে পারেনি।
বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য সংস্থা আমেরিকার সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন(CDC নামে পরিচিত) প্রতিষ্ঠাই হয় আমেরিকার ম্যালেরিয়া কন্ট্রোল প্রোগ্রামের উত্তরসূরি হিসেবে। বাংলাদেশেরও অনুরূপ সংস্থা IEDCR প্রতিষ্ঠিত হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ম্যালেরিয়া কন্ট্রোল প্রোগ্রামের উত্তরসূরি হিসেবে।
ম্যালেরিয়া নিয়েছে অনেক, গত বছরেও পৃথিবীব্যাপী ২০০ মিলিয়ন রোগীর মাঝে অন্তত ৬,২৭,০০০ মানুষের প্রাণ। ৭০০ কোটি মানুষের পৃথিবীতে ৩২০ কোটি মানুষ যেখানে ম্যালেরিয়া ঝুঁকিতে, পৃথিবীর অন্তত ১০৬টি দেশের মানুষের জন্য শুধু ২৫ এপ্রিল না বছরের ৩৬৫ দিনই ম্যালেরিয়া ডে। ২০১৫ সালের বাংলাদেশের ম্যালেরিয়া পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি দিতেই এত বড় লেখার অবতারণা-২০১৪ সালে মোট ম্যলেরিয়ায় আক্রান্ত ৫৭৪৮০জন, মৃত্যু ৪৫ জন যেখানে ২০১৩ সালে আক্রান্ত ২৬৮৯১জন, মৃত্যু ১৫ জন। গতবছর ম্যালেরিয়া মহামারী আকার ধারণ করার কারণঃ ভারতের সাথে সীমান্ত পুরোপুরি নিশ্ছিদ্র নয়, জলবায়ু পরিবর্তনে আগাম বর্ষাকাল এবং থেমে থেমে বৃষ্টি, ম্যালেরিয়া কর্মসুচির সাফল্যে VICTIM OF OUR OWN SUCCESS। ২০১৫ সালে ম্যালেরিয়া প্রবণ ১৩টি জেলায় ঝুকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ১কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার। বাংলাদেশ সরকার ও থেমে নেই, আমরা চিকিৎসকেরাও চেষ্টা করছি। এ পর্যন্ত কীটনাশক যুক্ত মশারি বিতরণ করা হয়েছে ৪৪ লাখ, দ্রুত রোগ নির্ণয়ের জন্য RDT কম্যুনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে সহজলভ্য করা হয়েছে, কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলন, ওষুধ সরবরাহ ও সংরক্ষণ, দেশজুড়ে মাইক্রোস্কোপ সেন্টার ৮৩ সরকারি বেসরকারি ১২১, ২১ এনজিও কাজ করছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হয় সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে।
ম্যালেরিয়া এবং মানব সভ্যতা ইতিহাসের পথে পাশাপাশি হাতে হাত রেখে হেঁটে গেছে । কখনো দেবতার অভিশাপের মিথ, কখনো নতুন মহাদেশ আবিষ্কারের উত্তেজনা, চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের অগুনিত নির্ঘুম রাত, সাম্রাজ্যবাদীদের মাথা ব্যথার কারণ, শ্রমিকদের দুর্দশা, আন্তর্জাতিক রাজনীতি-মহাযুদ্ধের নিয়ামক হয়েছে ম্যালেরিয়া।বর্তমানে এন্টিম্যালেরিয়াল ভ্যাক্সিন, নতুন এন্টিম্যালেরিয়াল ড্রাগ এবং ম্যালেরিয়া জিনোম প্রজেক্টের উপর কাজ গবেষণা চলছে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের তাই প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ Invest in the future: Defeat Malaria.
ম্যালেরিয়া গবেষণা নিয়ে বিখ্যাত সব নোবেল বিজয়ীদের পাশে বাংলাদেশের গর্ব একজন চিকিৎসকের নাম না লিখলে এ লেখাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তিনি প্রফেসর ডাঃ এম এ ফয়েজ স্যার। বর্তমানে সিভিয়ার ম্যালেরিয়ার যে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত আছে সেটিতে ফয়েজ স্যারের অবদান অনেক, পৃথিবীর বর্তমানে সেরা ম্যালেরিয়া গবেষকদের একজন ফয়েজ স্যার যিনি ম্যালেরিয়ার উন্নত চিকিৎসা আবিষ্কারে এখন কাজ করছেন। যারা ফয়েজ স্যারকে এখনি চিনতে পারেন নি তাঁদের জন্য বলছি-যে বই পড়ে আমরা সবাই ডাক্তার হয়েছি সেই ডেভিডসন মেডিসিন বইতে যে দু’জন বাংলাদেশি চিকিৎসকের নাম লেখা আছে তাঁর একজন ফয়েজ স্যার।
এত বিশাল লেখা পড়ার ধৈর্য যাদের হয়নি তাঁদের জন্য এই শেষ লাইনটি- পৃথিবীর সব চেয়ে ভয়ংকর রোগ এইডস কিম্বা ক্যান্সার, ১০০% মৃত্যু নিশ্চিত র্যাবিস কোন অসুখেই একজন সুস্থ মানুষের রোগ ধরার পড়ার ২৪ ঘন্টার মাঝে মারা যায় না কিন্তু ম্যালেরিয়াই(সিভিয়ার ম্যলেরিয়া) একমাত্র প্রতিকার যোগ্য অসুখ যেটিতে জ্বর হবার একদিনের মাঝে রোগী মারা যায়।
(ম্যালিওথেরাপি আবিষ্কারের জন্য নোবেল পান ওয়েগনার-জাউরেগ ১৯২৭ সালে)
ডাঃ মোহিব নীরব