প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২৬ আগস্ট ২০২০, বুধবার
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে
কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপী’র অবস্থান সম্পর্কে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান গবেষণা বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘Nature’ এ উল্লেখের মাধ্যমে বিশ্ব স্বীকৃতি পেল।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপী কতটা কার্যকর ও নিরাপদ তা নির্ণয়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান গবেষণার বিশ্ব স্বীকৃতি মিলেছে। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী Nature কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চলমান গবেষণার মুখপাত্রের বক্তব্য উল্লেখ করার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাসমূহ এবার উচ্চমানের বিশ্ব স্বীকৃতি পেলো। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডিমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘Nature’-এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপী বিষয়ে চলমান গবেষণার প্রধান গবেষক ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং মুখপাত্র ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎকারের জন্যে যোগাযোগ করেন।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপীর চলমান গবেষণাসমূহের মধ্যে বিশ্বের মাত্র দু’টি গবেষণা দলের কাছ থেকে “Nature” সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করে, যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠানের ১১ সদস্যবিশিষ্ট গবেষণক দলের পরিচালনাধীন গবেষণাটি অন্যতম।
Nature নিউজের পক্ষ থেকে সিনিয়র রিপোর্টার হেইডি লেডফোড অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে Nature নিউজে গবেষক দলের মুখপাত্র ডা. ফজলে রাব্বি চৌধুরীর বরাতে চলমান গবেষণার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ বর্ণনা করা হয়। সেখানে ডা. রাব্বি বলেন,
“বিভিন্ন মানুষের মধ্যে এন্টিবডির মাত্রায় বিশাল পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেটি গবেষণা পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, প্লাজমা থেরাপীর কার্যকারিতা সুনির্দিষ্ট করে প্রমাণের জন্যে নিউট্রালাইজিং এন্টিবডি পরিমাপের প্রয়োজন, যেটির সুযোগ পৃথিবীর অনেক দেশেই নেই। একই সাথে এটি ব্যয়বহুল এবং উন্নত নিরাপত্তা সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত গবেষণাগার ছাড়া করা সম্ভব নয়। তাই প্লাজমা থেরাপী শুধুমাত্র গবেষণা অর্থাৎ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সেটিংয়েই ব্যবহার করা উচিত।”