ব্যাচেলর ইন ডেন্টাল সার্জারি ( বিডিএস) , শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য “কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি এন্ড এন্ডোডন্টিকস” নিয়ে কিছু আলোচনা ।
বিডিএস চতুর্থ বর্ষ , শেষ বর্ষ এবং ৫টি বিষয়। ক্লিনিক্যাল কেইস, প্র্যাকটিক্যাল কাজ সবকিছু নিয়ে একটা বিভীষিকাময় সময় পার করতে হয় প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের যেন।
রুটক্যানেল , ফিলিং এসব নিয়ে প্রথম বর্ষ থেকে শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেলেও, শেষ বর্ষে এসে পড়তে যেয়ে মনে হয় ৩ বছর পর আর মনে হয় হচ্ছে না ফাইনাল ইয়ারটা শেষ করা। আইটেম পেন্ডিং এর এক বন্যা বয়ে যায়। হতাশার আরেক নাম যেন ফাইনাল ইয়ার বা শেষ বর্ষ ।
তবে চোখ মুখ নিশ্বাস বন্ধ করে থেকে যেদিন ফাইনালি ফাইনাল প্রফ রেজাল্টটা দিয়ে দিবে আর নামের আগে ডা. যুক্ত হবে তখন ঐ আনন্দ আর সম্মানের কাছে এই কষ্ট আর কিছুই মনে হবে না। দিনগুলোর কথা আর মনে করতেও ইচ্ছে হবে না।
কনজারভেটিভ এর দুইটা পার্ট- একটা এন্ডোডন্টিকস্ এবং অপরটি অপারেটিভ।
মূলত এন্ডোডন্টিকস্ মানে রুটক্যানেল ট্রিটমেন্ট আর অপারেটিভ মানে ক্যাভিটি ফিলিং। এর সাথে সাথে আরও আনুষঙ্গিক কিছু জিনিস যুক্ত।
এন্ডোডন্টিকস্ পড়ার প্রথম ধাপই হচ্ছে টুথ এর সাইজ,ইন্টার্নাল এনাটমি জানা। এনাটমি সঠিক ভাবে জানলে পড়ায় যেমন মজা পাওয়া যায় কাজ করতে গেলেও ক্লিনিক্যাল কাজ সহজ হয় আর আত্নবিশ্বাসও পাওয়া যায় কাজে। এরপর রুটক্যানেল ট্রিটমেন্ট এর ধাপগুলোই প্রতিটি অধ্যায়ে বিশ্লেষন করা হয়েছে তাই ধাপগুলো মাথায় প্রথমে ভাল করে গেঁথে নিতে হবে। অনেকেরই কনজারভেটিভ ওয়ার্ডে প্লেসম্যান্ট পরে হয় তাই প্রথম দিকে বুঝতে যেয়ে হিমসিম খেয়ে যাই আমরা কারন ক্লিনিক্যাল কাজগুলো, পড়াগুলো আরো অনেক সহজ করে দেয়। সেক্ষেত্রে ইউটিউবে ভিডিওগুলো দেখে নেওয়া যেতে পারে। একটা রুটক্যানেল ট্রিটমেন্ট নিজ হাতে করে ফেললে পড়া অর্ধেক সহজ হয়ে যায়।
আরেকটা বিষয় যেটা না পারলেই নয় তা হচ্ছে লোকাল এনেস্থেসিয়া। এই বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে কারন কাজ করতে গেলে প্রতিটা বিষয়েই লাগবে এবং সারাজীবনই লাগবে।সাথে এন্ডোডন্টিক সার্জারী টপিকটাও ভালভাবে আয়ত্ন করতে হবে।
অপারেটিভ এর ক্ষেত্রে কেভিটি প্রিপারেশন ও ফিলিং ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কে জানতে হবে। জি.আই, কমপোজিট, এমালগাম কোন ম্যাটেরিয়াল কোন কেভিটিতে কিভাবে কেভিটি প্রিপেয়ার করে দিতে হবে এটা জানা এক কথায় বাধ্যতামূলক।
কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি এন্ড এন্ডোডন্টিকস্ এর অনেক বই আছে। পড়া অনেক থাকে আর পরিক্ষার আগে সময়ও খুব বেশী পাওয়া যায় না তাই শুরু থেকেই একটা রাইটারের বইকে মেইন বই ধরে অন্যবইয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো মেইন বইয়ে যোগ করে নেওয়া যেতে পারে। এতে করে পড়াটা গোছানো যেমন হয়ে যায়, পরীক্ষার সময় রিভিশন দিতেও কম সময় লাগে।
সবশেষে এক কথায় বলতে গেলে ফাইনাল ইয়ারে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থেকে লেকচার শুনে আইটেম ক্লিয়ার করলে পড়াটা বুঝতে যেমন সহজ হয় প্রেসারও কম লাগে। কারন বাসায় বসে সময় নিয়ে নিজে নিজে বোঝার সময় ফাইনাল ইয়ারের ৫ টা বিষয় মিলিয়ে হয়ে উঠে না।
এই বিষয় নিয়ে আরও কিছু জানতে প্ল্যাটফর্ম গ্রুপে এই পোস্টটির নিচে কমেন্ট করে বলে দিন আর কি কি জানতে চান। এছাড়া আর বিডিএস’র কোন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে আমাদের কে জানিয়ে দিন।
লিখেছে ঃ ডা. আফসারা নাওয়ার, সাফেনা উইমেন্স ডেন্টাল কলেজ এন্ড হসপিটাল