জেগে উঠেছে খুলনা বিভাগ।সারা দেশের জেগে ওঠা এখন সময়ের ব্যাপার:
৮ম পে স্কেলে ক্যাডারদের বেতন বৈষম্য,উপজেলা লেভেলে ১৭টি দপ্তরের কর্মকর্তাদের বেতন বিলে ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত ৮/১০/১৫ ইং তারিখে খুলনা বিএমএ ভবনে ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমন্ময়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।এখানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিএমএ র সভাপতি ডা:বাহারুল আলম স্যার।
এর ধারাবাহিকতায় ৯/১০/১৫ ইং তারিখে বিএমএ ভবনে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ডা:বাহারুল আলম স্যারকে আহবায়ক করে ৫০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ১০/১০/১৫ ইং তারিখ সকাল ১১:০০ টায় খুলনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে একটি প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ডা:বাহারুল আলম স্যার।তিনি ৮ম পে স্কেলের বিভিন্ন অসংগতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।এরপর একটি মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।প্রেস ব্রিফিং এ মূল বক্তব্য:
-একজন ১ম শ্রেণীর ক্যাডার অফিসার ৯ম গ্রেডে চাকরী শুরু করেন।৪ বছর পর চাকরীর বিভিন্ন শর্ত পূরন সাপেক্ষে তিনি ৭ম গ্রেডে উন্নীত হন।৫ বছর পর সিনিয়র স্কেল পাশের পর তিনি ৬ষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি পান।
চাকরীকাল ১০ বছর পূর্তিতে তার ৫ম গ্রেডে পদোন্নতি পাবার কথা কিন্তু পদ সংকটের কারণে পদোন্নতি না হলেও তিনি ৫ম গ্রেডের বেতন স্কেল পান।৫ম গ্রেড প্রাপ্তির ৮ বছর পর তিনি ৪র্থ গ্রেডে উন্নীত হন।
এখন সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করার ফলে পদোন্নতি না পেলে ৯ম গ্রেডেই পড়ে থাকবেন যা কর্মকর্তাদের কাজের স্পৃহা নষ্ট করবে।শুধু ৫% বা ৪% বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টে এ আর্থিক ক্ষতি বা পদমর্যাদার অবনমন এর পরিপূরক হতে পারে না।কারণ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদ সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশী প্রোমশন পান যার ফলে একই ব্যাচে চাকরীতে ঢুকলেও একজন ৯ম গ্রেডে বেতন পাবেন আরেকজন অনেক উপরের গ্রেডে বেতন পাবেন।আর এর ফলে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট এর ক্ষেত্রেও একই ব্যাচের বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মাঝে বৈষম্য বিরাজ করবে।
সিলেকশন গ্রেড বাতিলের ফলে শিক্ষা ক্যাডারের পদ অবনমন হয়েছে।আগে অধ্যাপক গণ ৪র্থ গ্রেডের স্কেল পেলেও সিলেকশন গেড পেয়ে ৩য় গ্রেডে উন্নীত হতেন।সিলেকশন গ্রেড বাতিল হওয়ায় তিনি আর ৩য় গ্রেডে যেতে পারবেন না।
উপজেলায় ১৭ টি দপ্তরের বেতন ভাতা ও বিলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও র স্বাক্ষর নেয়ার যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রীপরিষদ সভায় নেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত দু:খ জনক ও অবমাননাকর।কারণ উপজেলার অনেক কর্মকর্তা ইউএনও র চেয়ে অনেক সিনিয়র।এছাড়া ক্যাডার কর্মকর্তাগণ কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত।কিন্তু স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে সেলফ ড্রয়িং অফিসারদের বেতন ও বিলে স্বাক্ষর অত্যন্ত অবমাননাকর।২৬ ক্যাডারের পেশাজীবিরা মাঠ পর্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত।তাদের এ বৈষম্যমূলক বেতন ও অবমাননাকর পরিস্থিতিতে চাকরী করতে হলে তা উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।তাই অবিলম্বে এ সকল সিদ্ধান্ত বাতিলের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া প্রথমেই ৮ম স্কেলে প্রায় দ্বিগুন বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য ইতিবাচক দিক এর জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয় ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে সোনার বাংলা গড়ায় ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ বদ্ধপরিকর বলে জানানো হয়।
২৬ ক্যাডারের দাবীসমূহ:
-বাতিলকৃত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পূনর্বহাল রাখা।
–
উপজেলা পর্যায়ের ১৭ টি দপ্তরের কর্মকর্তাদের বেতন বিলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও র স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
-স্ব স্ব ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের শীর্ষ পদ স্ব স্ব ক্যাডারের কর্মকর্তার পদায়ন নিশ্চিৎ করতে হবে।
-আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন করতে হবে।
-সকল ক্যাডারকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ দিতে হবে।
-সকল বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার পদমর্যাদা একই হতে হবে।
মেহেদী হাসান বিপ্লব, ব্যাচ ৩৫, শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ।
Sir Apni sara r jara amader sir asen ….tara to practice miss jabe bole Ei bepare strike to dure thak kothao bole na…unara asole takar machine hoye gese….public kintu thik e bole