৪ জানুয়ারি ২০২০
আজ ৪ জানুয়ারি রোজ শনিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসদের কর্ম বিরতি চলছে। তিন চিকিৎসককে জেল হাজতে পাঠানো ও কর্ম ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে তারা এ কর্মবিরতি পালন করছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহ্বানে পালিত হওয়া এই কর্মসূচি রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে বলে জানান জেলা বিএমএ এর সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবু সাঈদ। তবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে বলে জানান সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক।
শহরের কুমারশীল মোড় এলাকার নিউ সেন্ট্রাল ল্যাব এইড হাসপাতালের মালিক আমিনুল হক বলেন, ‘চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে। আমরা তাদের সঙ্গে একাত্বতা ঘোষণা করেছি।’ কর্ম বিরতি সর্ম্পকে জেলা বিএমএ এর সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আবু সাঈদ জানান, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় দিয়ে ও বিনা তদন্তে তিন চিকিৎসককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। যার কারণে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছি। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, এ কর্মসূচি আজ রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। রাতে বিএমএ এর বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. হুমায়ুন কবীর জানান, সদর হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। প্রাইভেট ক্লিনিক বন্ধ থাকায় সরকারি হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেকাংশে বেড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর নওশীন আহমেদ দিয়া নামে এক নারী প্রসবজনিত কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মুন্সেফ পাড়ায় খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার চার দিন পর ৪ নভেম্বর মারা যান। চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় দিয়া মারা গিয়েছেন এমন অভিযোগে খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক ডা. ডিউক চৌধুরী, ডা. অরুনেশ্বর পাল চৌধুরী ও রাসেল আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তার বাবা শিহাব উদ্দিন গেন্দু। মামলায় গত ১ জনুয়ারি তিন চিকিৎসককে জেল হাজতে পাঠান জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
প্রতিবেদন/ওয়াসিফ হোসেন