প্ল্যাটফর্ম নিউজ, শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০
শারমিন আক্তার- হাসিখুশি, পড়ুয়া আর প্রচণ্ড মেধাবী একটি মুখ। কুমিল্লার ইস্টার্ণ মেডিকেল কলেজে ফোর্থ ইয়ারে পড়ে। ঘটনার শুরু বেশ কিছুদিন আগে। তখন মাত্র প্রথম পেশাগত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকমাস ধরে চলতে থাকা অসুস্থতা হঠাৎ তীব্র আকার ধারণ করে। কোনোভাবে শেষ ক’টা পরীক্ষা দিয়েই সে ছুটে যায় হাসপাতালে। ডাক্তার দেখেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়। শেষে এ অদ্ভুত দীর্ঘ অসুস্থতার কারণ জানা যায়। পরিবার, পরিজন, শিক্ষক-বন্ধু সবার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কারণ শারমিনের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছে। সে নন-হজকিন্স লিম্ফোমায় আক্রান্ত। এ গল্প জুন, ২০১৮ এর।
ডায়াগনোসিসের পর শারমিনের প্রথম সার্জারী হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে। অপারেশন করেন প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম স্যার, বিভাগীয় প্রধান, সার্জারী বিভাগ, ঢামেক। এতে শারমিনের বৃহদান্ত্রের ডানপাশের দিকের অংশ পুরোটা কেটে ফেলা হয়!
তারপর শুরু হয় যন্ত্রণাদায়ক কেমোথেরাপি। ডা. অখিল রঞ্জন বিশ্বাস স্যারের অধীনে ৮ টি সাইকেলে তার চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয়।
দীর্ঘ সময় পর শারমিন আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ হয়ে কলেজে ফিরে আসে। নিয়মিত চেকআপে রাখা হয় তাকে। ঠিক যখন সবাই ভেবেছিল, মেয়েটি হয়তো ক্যান্সারের মারণ থাবা থেকে বেঁচে ফিরেছে, তখনই আল্লাহ তাঁকে আরো বড় পরীক্ষার মুখোমুখি করেন।
নভেম্বর, ২০১৯ এর চেকআপে তার মেটাস্টেসিস ধরা পড়ে। অর্থাৎ ক্যান্সার নতুন করে আরো খারাপ জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসার জন্য তাকে আবারো ২ দফা কেমোথেরাপি দিতে হয়। সিদ্ধান্ত হয় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারির। ১৫ মার্চ, ২০২০ এ সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হবার কথা থাকলেও করোনাকালীন বিপর্যয়ে তার চিকিৎসা থামিয়ে দিতে হয়। আতঙ্কে তিনটি মাস কাটানোর পর গত জুনে আবারো শারমিন মুখোমুখি হয় ডাক্তারের। দুঃসংবাদ আসে। দ্বিতীয়বারের মত তার ক্যান্সার ফিরে এসেছে। সার্জারির জন্য সে প্রস্তুত নয়। নতুন করে ২ সাইকেল কেমো দিতে হবে। তারপর সব স্বাভাবিক থাকলে যদি সৃষ্টিকর্তা সহায় হোন, তার অপারেশনের কথা ভাবা যাবে!
ডাক্তার হবার স্বপ্ন নিয়ে প্রাইভেট মেডিকেলে দরিদ্র মেধাবী কোটায় পড়ুয়া স্বপ্নীল শারমিন এখন অসহায়। মেয়েটি মানসিক ভাবে একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। সবাই যা ধারণা করতে পারছেন; দীর্ঘ এ চিকিৎসায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়েছে। এতদিন সর্বসাধ্য চেষ্টার করার পর আজ শারমিনের চিকিৎসা চালানোর সামর্থ্য হারিয়েছি আমরা; তার পরিবার, ক্যাম্পাস আর শুভানুধ্যায়ীরা। চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ১২ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে এর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এসেছে শারমিনের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, কলেজ আর শুভাকাঙ্ক্ষী সব পরিবার থেকে। লাগবে আরো প্রায় ১৩ লাখ। আমরা এর অর্ধেক জোগাড় করতে পেরেছি। বাকিটা কীভাবে হবে জানা নেই।
আপনাদের দোরগোড়ায় আসতে হবে কোনোদিন ভাবিনি। কিন্তু হয়তো এটাই আল্লাহ ভাগ্যে লিখেছিলেন। আজ আমরা নিরুপায় হয়ে এসেছি। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন, মেধাবী এ মেয়েটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। অর্থ সাহায্য দিয়ে সহায়তা করুন। বিশ্বাস করুন, আপনারা একটু হাত বাড়ালে ইনশাআল্লাহ বেঁচে যেতে পারে একটি সম্ভাবনাময়ী জীবন।
নাম: শারমিন আক্তার
সেশন: ২০১৬-১৭
ব্যাচ: ১৩
ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা।
বর্তমানে সে ঢাকা সিএমএইচ এ ভর্তি।
সহায়তা পাঠানোর জন্য:
বিকাশ:
01879217034 (বড় ভাই মো: সালাম)
01817-455933 (মেজ ভাই মো: আলাউদ্দিন)
রকেট:
01817-4559338 (মেজ ভাই মো: আলাউদ্দিন)
নগদ:
01817-455933 (মেজ ভাই মো: আলাউদ্দিন)
ব্যাংক হিসাব নং: ৩৪০৮৮২৩,
নাম: নেকবর আলি (বাবা)
ইসলামী ব্যাংক, চান্দিনা শাখা, কুমিল্লা।
ব্যাংক হিসাব নং: ০১০০০৩১২১৩৭২৪
নাম: নেকবর আলি (বাবা)
জনতা ব্যাংক লিমিটেড, চান্দিনা শাখা, কুমিল্লা।