সজীব চন্দ্র রায় প্রমাণ করেছে ইচ্ছা ও মেধা শক্তি থাকলে জীবনে কিছুই অসম্ভব নয়।
কাঠুরিয়া পিতা এবং দিনমজুর মায়ের সন্তান সজীব। চরম দারিদ্রতার জীবনকে উপেক্ষা করে এবারের মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় ৩য় স্থান অধিকার করেছে সে।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১১নং মরিচা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম কাঠগড় রাজাপুকুরে ২০০০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম হয় সজীবের।
বাবা মনোধর চন্দ্র রায় সংসারের ভরণ-পোষণ নির্বাহের জন্য একসময় রিকশা-ভ্যান চালান। ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে সেই রিকশা-ভ্যান বিক্রি করে এখন শুধু কাঠুরিয়ার কাজ করেন।মা চারুবালা রায় কৃষি শ্রমিক হিসেবে দিনমজুরের কাজ করেন।
২০১০ সালে কাঠগড় আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পাবলিক পরীক্ষায় গোটা বীরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে প্রথম হয়।এরপরের সকল পরীক্ষায় কৃত্বিতের সাথে উত্তীর্ণ হয়।সর্বোপরি এবারের
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় (2018-19) এমসিকিউ ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৫.৭৫ এবং সার্টিফিকেটে ২০০ নম্বরের মধ্যে ২০০ নম্বর পেয়ে সারা দেশের মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে, ঢাকা মেডিকেলে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করে।
তার এই সাফল্যে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সংবর্ধনা ও প্রীতি উপহার দেয়া হয় তাকে।
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটারঃ উর্বী সারাফ আনিকা
৫ম বর্ষ
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ।