মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে পোস্ট গ্রাজুয়েট (স্নাতকোত্তর পড়ুয়া চিকিৎসক) প্রাইভেট ট্রেইনি এবং রেসিডেন্ট চিকিৎসকগণ বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। জানা যায়, বিগত ২ বছর ধরে ট্রেইনি চিকিৎসকদের যৌক্তিক দাবি– ‘সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ ভাতা ৯ম গ্রেডে উত্তীর্ণ করা’ নিয়ে সর্বস্তরে কথা বলার পরও কোন ফলাফল পাননি। বিশেষ করে, গত ৪ মাস ধরে তারা বিসিপিএস, বিএসএমএমইউ, ডিজি শিক্ষা, ডিজি হেলথ, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রধান সহকারীর সাথে দেখা করেন। ফলস্বরূপ নথি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় নথি আটকে থাকায় বাধ্য হয়ে তারা এসব কর্মসূচি দিয়েছেন। আজ (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানানো হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে – আগামী ১১ ও ১২ ডিসেম্বর ট্রেইনি চিকিৎসকেরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করবেন। আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ মিনার থেকে রাজু ভাস্কর্য অভিমুখে মশাল মিছিল করবেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর নিজ নিজ মেডিকেলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এসব কর্মসূচির নেপথ্যে আছে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস নামের চিকিৎসকদের সংগঠন।
উল্লেখ্য যে, স্নাতকোত্তর পড়ুয়া চিকিৎসকদের কোর্সের সম্পন্ন করতে প্রতিদিন সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবা প্রদান করতে হয়। দৈনিক ৮.৫-১০ ঘন্টা পর্যন্ত ডিউটি করে মাস শেষে তাদের ভাতা দেয়া হয় ২৫,০০০ টাকা। এসময়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস (চেম্বার) বন্ধ থাকায় এই ভাতাই তাদের জীবন নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু বর্তমান বাজার দর চিন্তা করলে যেকোনো জেলা শহরে এ অর্থ দিয়ে মাস অতিক্রম করা প্রায় অসম্ভবই বলা চলে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে রাজ্যভেদে ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা ১লক্ষ থেকে ১লক্ষ ৩০হাজার রূপি, পাকিস্তানে ৭০ হাজার রূপি ও ভূটানে ৫০ হাজার নলট্রুম। যা বাংলাদেশের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি!
সংবাদ সম্মেলনে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ ভাতা ৯ম গ্রেডে উত্তীর্ণ করার দাবি সহসা বাস্তবায়ন করা না হলে তাহলে হলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচির পাশাপাশি চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক আসবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক।