১৭ জানুয়ারি, ২০২০
কাশ্মীরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জরুরিভিত্তিতে ভিসা ইস্যুর নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে ‘কাশ্মীরিরা বাংলাদেশের ভিসা পাচ্ছে না’ মর্মে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষিতে সরকার ভিসা আবেদন এপ্রুভ করার নির্দেশ দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
১৭ ই জানুয়ারি থেকে ভিসা ইস্যু শুরু হবে। তবে কর্মকর্তারা গতকালও বলেছেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ভিসা দিচ্ছে না মর্মে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা পুরোপুরি সত্য নয়। ১২ই জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ সংক্রান্ত রিপোর্ট মিথ্যা বলে প্রত্যাখান করেছিলেন। কিন্তু কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, ভর্তি প্রক্রিয়ার কিছু কাজ বাকি থাকার কারণে ভিসা ইস্যুতে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।
তারা আরও জানান, কারও ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়নি বরং ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায় আবেদনগুলো ঝুলে ছিল। সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে ‘ভর্তি কার্যক্রম অসম্পূর্ণ রেখেই’ ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। জবাবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন- আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের জমাকৃত কাগজপত্র যাচাই এবং তারা যে সিস্টেমে ‘হাইয়ার সেকেন্ডারি’ পড়েছেন বাংলাদেশের এইচএসসিতে পড়ানো বিষয়গুলোর সঙ্গে তার কোন ভিন্নতা আছে কি-না? সেটির মূল্যায়ন এবং সনদ, মার্ক যথাযথ হওয়ার পরই ভিসা ইস্যু হয়। কিন্তু সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের প্রেক্ষিতে এবার আগে ভিসা, পরে সনদের যথার্থতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি কেবল ভারত নয়, নেপাল, ভূটান, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, পাকিস্তানসহ বাংলাদেশে পড়তে আসা বিদেশি সব মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বেলায় প্রযোজ্য হবে ।
আরও এক কর্মকর্তা বলেন, অন্যরাও ভিসা জটিলতায় ছিলেন, কিন্তু খবর হয়েছে স্পর্শকাতর কাশ্মীরী শিক্ষার্থীদের নিয়ে। কর্মকর্তাদের দাবি বাংলাদেশে পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। এতেও কিছুটা সময়ক্ষেপন হয়। কর্মকর্তারা আশা করছেন নির্দেশনার ফলে এখন আর মেডিকেল পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের ভিসাপ্রাপ্তিতে কোন ঝামেলা হবে না।
এর আগে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নর্থইস্টনাউ-এ নিয়ে সর্ব প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে। অনলাইনে ‘কাশ্মীরী মেডিকেল স্টুডেন্টস রাশিং অল অভার ফর বাংলাদেশ ভিসা’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটির বরাতে অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমেও খবরটি প্রচার হয়। সেই রিপোর্টে বলা হয়- বাংলাদেশে প্রবেশের ভিসা পেতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় সাড়ে তিনশ কাশ্মীরী মেডিক্যাল শিক্ষার্থী এক মাস ধরে দিল্লি, কলকাতা, গোয়াহাটি ও আগরতলায় আটকে আছেন। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা ছাড়াই ভিসা পাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন রিপোটটির লেখক কলকাতার সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক।
নিজস্ব প্রতিবেদক / তামান্না ইসলাম