প্ল্যাটফর্ম নিউজ, শনিবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২১
রাজশাহীতে হাতুড়ে চিকিৎসকের দেয়া ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাত বছরের শিশু আব্দুর রাফি! তাঁর সারা শরীরে আগুনে পুড়ে যাওয়ার মত ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় চিকিৎসকদের শঙ্কা এতে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি হতে পারে। প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে উঠলেও রাফির কণ্ঠনালী ও চোখে কিছু জটিলতা থেকে যাবে।
ভুক্তভোগী শিশুটির অভিভাবকরা জানান, “দাঁত তোলার পর ব্যথা হলে রাফিকে নেয়া হয় রাজশাহীর কাটাখালি বাজারের “ভাই ভাই ডেন্টাল কেয়ার” এর কথিত ডেন্টিস্ট মফিজুল হকের কাছে। তিনি দুটি ঔষধ লিখে দিলে তা সেবনের ১২ দিন পর শিশুটির এই করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়”।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, “দাঁতের ব্যথা কমাতে না বুঝে দেয়া হয়েছে খিঁচুনির ঔষধ, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শিশুটির এই অবস্থা”।
একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হয়েও কাটাখালি বাজারের ভাই ভাই ডেন্টাল কেয়ারে কথিত ডেন্টিস্ট ভুয়া চিকিৎসক নিবন্ধন নাম্বার ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ অপচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই হাতুড়ে চিকিৎসক মফিজুল হক পালাতক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, “মফিজুলের চিকিৎসা দেয়ার কোনো বৈধতা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন তাঁরা”।
রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন জনাব রাজিউল হক জানান,
“বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ কখনও নামের আগে ডাক্তার বসাতে পারবে না। সেটা কোনো মেডিকেল এসিস্টেন্ট হলেও না, তা একদম ক্লিয়ার। বলা যায় যে এইটা ধোঁকাবাজি করা, মানুষের সাথে জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।” এই নির্দেশনা অমান্যকারীরা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, যেকোনো দন্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিডিএস (ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারী) পাশ বাধ্যতামূলক, বিডিএস ডিগ্রীধারী ব্যতীত কেউই দন্ত চিকিৎসক নয়।
তথ্যসূত্র: যমুনা নিউজ।