গতকাল ১৫ মে ২০১৯ বুধবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রী হোস্টেলের সামনে ম-৫৫ ব্যাচের এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হন। ইফতারের পর সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ তিনি হোস্টেলে আসলে হোস্টেলের গেটেই এক লোক তাকে যৌন হয়রানি করে। মেয়েটির চিৎকারে পরে লোকটি পালিয়ে যায়।
ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত হয়ে তিনি প্রথমে কাউকেই জানাতে পারেন নি। পরে রাত সাড়ে নয়টায় নিজের বান্ধবীদের জানান। এবং রাত ১১টায় হোস্টেল প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু হোস্টেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সাহায্য করতে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করে নি, বরং মেয়েটিকেই অপমানের চেষ্টা করা হয়। সন্ধ্যাবেলা মেয়েটি একা কেন বাহিরে ছিল এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষও নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করে এবং ঘটনাটি গোপন রাখার নির্দেশ দেয়।
অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার ছাত্রীর পক্ষ থেকে কাল ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ:
“আসসালামুআলাইকুম আমি আজকে সন্ধ্যা ৭টায় LH-এর গেইটে ঢুকছিলাম, আমার সামনে একটা লোক ছিলো, সে লেডিস হলের মেইন গেট ঢুকতে চাইছিলো, হঠাৎ গেটের সামনে এসে লোকটা দাড়িয়ে গেছে। গেটটা সরু হওয়ায় একজনের বেশি ভেতরে ঢুকা যায় না বা বের হওয়া যায় না। তাই আমিও দাড়িয়ে গেছি। আমি জিজ্ঞেস করেছি আপনি কি ভেতরে যাবেন? না হয় একপাশে দাড়ান আমি ঢুকবো। সে বললো হ্যাঁ যাবো। আমি বললাম তাহলে যান। লোকটা বললো না আপনি আগে যান। আমি যখনি গেটে ঢুকতে যাবো লোকটা হঠাৎ আমার পিছে এসে তার লুঙ্গি উপরে তুলে ফেলছে। আমার গায়ের দিকে ঘেসে এসে তার পেনিস আমার thigh এর পিছের সাইড ঘসতেসিলো। এবং তার semen আমার dress এর উপর পড়ছে। ঘটনা এতই আকস্মিক ছিল যে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। সম্ভবত ৮ থেকে ১০ সেকেন্ড এর মধ্যে।এর মাঝে আমি চিৎকার শুরু করলে লোকটি দৌড়ে চলে গেছে এবং রিকশা চালায় যায়। রোড ডিভাইডারের মাঝে আরো দুইটা লোক ছিলো।আমার চিৎকার শুনেও তারা কিছু বলেনি।”
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে মমেক ক্যাম্পাসে আজ সকাল থেকেই আন্দোলন চলছে। মেয়েদের নিরাপদ হোস্টেল এবং যৌন হয়রানির শাস্তির দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমেক শিক্ষার্থীরা।
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার:
সামিউন ফাতীহা
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর