বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন ‘মলিকুলার সার্জারী’। যা করা হবে ক্ষুদ্র সুঁই, বিদ্যুৎ প্রবাহ এবং থ্রি ডি ছাঁচ দিয়ে।
এই সার্জারী প্রধানত আবিষ্কার করা হয়েছে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যেমন নাক অথবা কান রিসেইপিং অপারেশন হিসেবে। যা হরহামেশাই অভিনেত্রীগণ করিয়ে থাকেন।
তাছাড়াও বিজ্ঞানীরা বলছেন স্ট্রোক এবং সেরেব্রাল পালসির জন্য শক্ত হয়ে যাওয়া জয়েন্টও ঠিক করা সম্ভব হবে এই পদ্ধতিতে। চোখে কর্নিয়ায় করা লেজার অপারেশনের বিকল্প স্বরুপ ব্যবহার করা যাবে এটি।ব্যাথা যুক্ত ডেভিয়েটেড সেপ্টামও এই পদ্ধতিতে সংশোধন করা সম্ভব হবে।
তড়িৎ শক্তি প্রবাহের মাধ্যমে কার্টিলেজকে নরম করে এর আকার পরিবর্তন করা যায়। বিজ্ঞানীরা দাবী করছেন এই নিয়মে সার্জারী করার ফলে কাটাকাটি, ক্ষতচিহ্ন, এমন কি ব্যাথা ব্যাতিত অপারেশন করা সম্ভব। অপরদিকে প্রচলিত নিয়মে অনেক ক্ষেত্রে বহু সময় লেগে যায় সুস্থ হতে,রয়ে যায় সার্জারীর ক্ষতচিহ্ন।
আমেরিকান ক্যামিকেল সোসাইটি এর ন্যাশনাল মিটিং স্প্রিং-২০১৯ এ ২রা এপ্রিল গবেষণাটি উত্থাপিত হয়। প্রজেক্ট প্রিন্সিপাল মাইকেল হিল জানান, স্বল্প খরচে, লোকাল এনেস্থিসিয়া দিয়ে এই অপারেশন করা যাবে।
পদ্ধতিটি পরীক্ষা করা হয়েছে খরগোশের উপর। খরগোশের লম্বা-সোজা দুটি কানের মধ্যে একটি কান বাঁকা করা হয়েছে মলিকুলার সার্জারী দিয়ে।
কার্টিলেজ প্রধানত কোলাজেন ফাইবার। কার্টিলেজে আছে নেগেটিভ চার্জড প্রোটিন এবং পজিটিভ চার্জড সোডিয়াম। শক্ত কার্টিলেজে আয়নের এই ঘনত্ব বেশি থাকে। মাইকেল হিল লক্ষ্য করেছেন, কার্টিলেজের ভিতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের ফলে টিস্যুর পানি অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন আয়নে রুপান্তরিত হয়। এই হাইড্রোজেন আয়নের পজিটিভ চার্জ প্রোটিনের নেগেটিভ চার্জের সাথে বিক্রিয়া করে চার্জ ঘনত্ব কমায় দেয়। যার ফলে কার্টিলেজ হয়ে যায় আগের থেকে অনেক নরম। সেই মূহুর্তে কার্টিলেজের আকার পরিবর্তন করা সম্ভব হয়।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখতে পারে মলিকুলার সার্জারী। কর্নিয়ার আকার দৃষ্টিশক্তিকে প্রভাবিত করে। এই সার্জারী দিয়ে কর্নিয়ার আকার পরিবর্তিত করে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করা যাবে।
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটারঃ উর্বী সারাফ আনিকা
৫ম বর্ষ
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ।