প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ২২ জুন, ২০২১, মঙ্গলবার
আমরা বর্ষাকালের বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে এসেছি। এই সময়ে মশাবাহিত বেশ কয়েকটি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাস জনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাসটি মানবদেহে সংক্রমণ হয়।
সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলির মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গায়ে ফুসকুড়ি। দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে, যাকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলা হয়।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তক্ষরণ হয়, রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়। যার ফলে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।
যেহেতু বর্ষা মৌসুমে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়, তাই বর্ষাকালে প্রয়োজন অধিক সচেতনতার।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা গুলো হল-
১. মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা।
২. ঘরে এবং আসেপাশে যে কোনো জায়গায় বা পাত্রে জমা থাকা পানি তিন দিন পর পর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যায়।
৩. ফুলের টব, প্ল্যাস্টিকের ড্রাম, পরিত্যক্ত চাকা, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, কন্টেইনার, ব্যাটারির শেল ইত্যাদি এডিস মশা ডিম পারে।
৪. ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম পরিষ্কার করতে পাত্রটি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
৫. অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে।
৬. রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় মশারী ব্যবহার করতে হবে।
৭. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।