প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১ আগষ্ট, ২০২০, শনিবার
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত মার্চের শেষের দিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে অনেকে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে চলে যান। লকডাউনের কারণে কেন্দ্রগুলো যেমন বন্ধ ছিল তেমনি শিশুরাও পুরোপুরি ঘরবন্দি ছিল। ফলে টিকা দিতে পারেনি অনেকেই। তিন মাসের বেশি সময় সবকিছু থমকে থাকায় বাধাগ্রস্ত হয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ।
সাধারণত গ্রাম ও শহরে দুভাবে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়। গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে, আর শহরে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয় বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে। লকডাউনের কারণে গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যেতে পারেননি বিগত কয়েক মাস ধরে।
তবে সম্প্রতি ধীরে ধীরে সচল হতে চলছে জীবনযাত্রা। জানা গেছে, জুনের শুরু থেকে ইপিআই কর্মসূচি গ্রামাঞ্চলে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
মাঠপর্যায়ে এখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ করোনা, বা যেকোনো দুর্যোগ, বন্যা, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই টিকাদান কর্মসূচিকে সচল রেখেছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা শিশুদের টিকা যত্ন সহকারে ও সতর্কতার সাথে টিকা প্রদান করে চলেছেন। তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের এ ভূমিকা অপরিসীম।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন
শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম আদর্শ দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। যার অনেকাংশে অবদান রয়েছে টিকাদান কর্মসূচির সেসব স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বদা নিবেদিত কার্যক্রমের।
এমনই এক নিবেদিত প্রাণ দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, বন্যা কিংবা করোনা মহামারীকালেও তাদের কাজ থেমে থাকে না কখনোই। দোহারের হরিচন্ডি গ্রামে বন্যার পানিতে যেখানে রাস্তা তলিয়ে গেছে সেখানে নৌকা বেয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সঠিক সময়ে টিকা প্রদান করে যাচ্ছেন। তাঁদের হাত ধরেই আজ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার টিকা কার্যক্রমের রোল মডেল হয়েছে বাংলাদেশ।