৩০ শে মে মাধ্যমিক এর ফলাফল প্রকাশিত হবে। নিউজ চ্যানেল, পত্রিকাগুলো ঢালাও সফলতার কথা প্রচার করবে শিরোনাম হিসেবে । পত্রিকার পাতাজুড়ে থাকবে হাস্যজ্জল, কান্না বিজোড়িত মুখমণ্ডল এর সমাহার। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলে দেশজুড়ে ফোকাসিত হবে হাজারখানেক হাতের V চিহ্ন, মিষ্টিমুখে দৃষ্টিসুখে চিত্ত জুড়াবে পরিবার পরিজন।
অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই আনাচে কানাচে আত্মহনন নামক মহাপাপ আলিঙ্গন করে পত্রিকাদির কলামের আনাচে কানাচে স্থান করে নেবে কিছু তাজা প্রাণ।
পরিবারবর্গের আশপাশ জুড়ে চলবে শোকের মাতম।
লাশটাকে নিকটস্থ হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এর জন্যে।
প্রথমে ধারালো ব্লেড দিয়ে xphoid process থেকে symphysis pubis পর্যন্ত একটা incision দেয়া হবে।
acromial process of the clavicles থেকে xphoid process পর্যন্ত দুটো Y শেপ আর একটা incision দেয়া হবে।
vertex এর দুই mastoid process যোগ করে একটা incision দেয়া হবে। margin of the orbit এবং external occipital protuberance পর্যন্ত skin রিফ্লেক্স করা হবে।
saw দিয়ে circular shape এ skull bones কেটে brain এর viscera বের করে আনা হবে।
chest এর ribs গুলো কেটে vital organ গুলো সংরক্ষণ করা হবে।
পর্যবেক্ষণের পর একটা ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হবে মৃত্যুর কারণ দর্শানো সহ।
১৭ বছরের জীবন্ত, লালিতপালিত শরীর টাকে এভাবে ক্ষত বিক্ষতরূপে দেখতে চাওয়া টা কি কাম্য?
জীবন একটাই। একটা স্কোর, একটা সংখ্যা জীবনের গুরুত্ব পরিমাপ করতে পারে না।
পরাজয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে জয়ী হবার আনন্দ টা যে কতটা উপভোগ্য সেটা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।
কখনও পত্রিকার আনাচে কানাচে আর কোন “রেজাল্ট খারাপের কারণে আত্মহনন” শিরোনাম হয়ে না আসুক।
চ্যালেঞ্জ টা নিচ্ছেন তো?
২০১৭ তে V সাইন দেখিয়ে পত্রিকার রঙীন কাগজে স্ব সহাস্যমুখ দেখার?
লেখকঃ খালেদ রিফাত, মেডিকেল শিক্ষার্থী ।
Share krbo Kivabe