চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা সনদ নেই, তবু তারা দাঁতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। টেনেটুনে মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। সেই সার্টিফিকেট দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে দন্ত রোগের চিকিৎসক হিসেবে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেম্বার দেখে বোঝার উপায় নেই, এত পরিপাটি ও লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কেউ এভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দুটি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে জেল-জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রত্যেককেই ৯ মাসের কারাদ- ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। দন্ড প্রাপ্তরা হলেন কারওয়ানবাজার আম্বরশাহ মসজিদ মার্কেটের আল হেরা ডেন্টাল কেয়ারের আক্তার হোসেন ও তার সহকারী তোফাজ্জল হোসেন, কারওয়ানবাজার ২ নম্বর সুপার মার্কেটের আল মদিনা ডেন্টাল কেয়ারের হাসানুর রহমান, একই মার্কেটের জান্নাত ডেন্টাল কেয়ারের আলাউদ্দিন ও গার্ডেন ডেন্টাল কেয়ারের ইলিয়াস হোসেন।
মসজিদ মার্কেটের জান্নাত ডেন্টাল কেয়ারে ভাগি্নর দাঁতের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য খাতের স্টাফ নুরে আলম। তিনি সমকালকে বলেন, ভাগি্ন রাবেয়া আক্তার নিশির (১২) দাঁতের ফিলিং করার জন্য তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছেন কথিত চিকিৎসক আলাউদ্দিন। এর পর নিশির দাতের মাড়ি ফুলে যায়। এ নিয়ে আলাউদ্দিনের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে আলাউদ্দিন বলেন, তিনি যথাযথভাবেই চিকিৎসা দিয়েছেন।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেননি বলে দোষ স্বীকার করেন। আরেক অভিযুক্ত গার্ডেন ডেন্টাল কেয়ারের এসএম ইলিয়াছ হোসেন বলেন, তিনি ফিলিং ও স্কেলিংয়ের কাজ করেন। বড় কোনো অপারেশন করেন না। শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। যুব উন্নয়ন কর্মসংস্থান থেকে ডিপ্লোমা করেছেন।