মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনা এখন থেকে সরকারের অনুমতি দরকার হবে। এমন বিধান রেখে মানবদেহে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন সংশোধন আইন-২০১৭ এর খসড়ায় মন্ত্রীসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
আত্মীয়ের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদিত রক্তসম্পর্কিতদের পরিধি বাড়াতে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।
সেই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালের বিশেষায়িত ইউনিট ছাড়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের হাসপাতালের জন্য সরকারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রতঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন- ২০১৭’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আশরাফ শামীম সাংবাদিকদের বলেন, নতুন আইন অনুযায়ী, আপন নানা, নানী, দাদা, দাদী, নাতি, নাতনী, চাচাতো-মামাতো-ফুফাতো-খালাতো ভাই বা বোনরাও রক্তসম্পর্কিত হিসেবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারবেন।
আগের আইনে নিকটাত্মীয় হিসেবে পুত্র, কন্যা, পিতা, মাতা, ভাই, বোন ও ও স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে রক্তসম্পর্কিত হিসেবে আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণ করতে পারতেন বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত সচিব শামীম বলেন, কোনো হাসপাতাল সরকারের অনুমতি ছাড়া মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করতে পারবে না। যে হাসপাতালই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন করুক সরকারের অনুমতি লাগবে।
‘যেসব সরকারি হাসাপাতালে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের বিশেষায়িত ইউনিট রয়েছে সেসব হাসপাতালের অনুমোদন নেওয়ার দরকার নেই।’
যাদের অনুমতি নেই তারা এই আইন কার্যকর হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে অনুমতির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে পারবে বলেও জানান আশরাফ শামীম।