প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, সোমবার
বাংলাদেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘সিকদার গ্রুপ’ নির্ভরতার সাথে বহু বছর ধরে দেশের বিভিন্ন মানবসেবার কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ও বিশ্বস্ত এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯২ সালে মেয়েদের জন্য আলাদাভাবে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে। এতে করে অনেক রক্ষনশীল পরিবারের মেয়েরাও নিরাপত্তা ও সুনিশ্চয়তার বলে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ থেকে পিছিয়ে পড়ে নি। মেয়েদের জন্য বিশেষভাবে মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করার উদ্যোগটি নারীশিক্ষা উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।
জয়নুল হক সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ কেবল যোগ্য ডাক্তার হিসেবে গড়ে তোলার কারিগরই নয়, বরং এতে রয়েছে শহরের সার্বজনীন কোলাহল থেকে মুক্ত প্রকৃতির নিবিড় সৌন্দর্যে ঘেরা বিস্তৃত, মনোরম ক্যাম্পাস। এই মুগ্ধকর ক্যাম্পাসটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থীত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত, একঘেয়ে জীবনে সতেজতার খোঁজে নদী তীরের সৌন্দর্যে হারিয়ে যেতে পারে; শরতে এই নদী তীর কাশফুলের বিশাল সাদাবনে রূপান্তরিত হয়। প্রকৃতির খোলা পরিবেশে নির্মিত ক্যাম্পাসটি মনকে প্রফুল্ল করে তুলতে সক্ষম।
বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা খাতে প্রথম সারির মানবসেবা কল্যাণের সাথে জড়িয়ে আছে সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দেশে প্রথম বারের মত ওপেন হার্ট সার্জারী শুরু হয় এই হাসপাতালে। দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকদের হাত ধরে জনগণের সর্বোচ্চ আস্থা ও সুপরিচিতি অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি। ২০০০ সালে গুলশানে গড়ে ওঠে এই হাসপাতালের দ্বিতীয় শাখা। করোনা মহামারী মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দ্বিতীয় শাখাকে সম্পূর্ণরূপে কোভিড-১৯ রোগের উপযোগী হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষ অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই হাসপাতালটির জন্য প্রয়োজনীয় করোনা উপযোগী আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসাসেবাকর্মী প্রস্তুত করে।
গুলশান শাখার করোনা উপযোগী হাসপাতালে বর্তমানে ৫০জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১২০জন নার্স ও হাসপাতাল কর্মীরা নিবেদিতভাবে সেবা প্রদান করে চলেছে। মোট ৮০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে রয়েছে ২০টি ICU ও CCU শয্যা, করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র, ভেন্টিলেটর ও আইসোলেশন ইউনিট। রয়েছে নেবুলাইজেশন মেশিন, RT PCR পরীক্ষাগার, হেমাটোলজি পরীক্ষাগার, কার্ডিয়াক মনিটর, আধুনিক CTS, MRI, ECG, ECO। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় প্রথম সারির নেতৃত্ববীদ যেমন ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, সাংবাদিক, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা খরচে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে রয়েছে ২০% ছাড়। মানবসেবা কল্যাণে বরাবরের মত এমন করোনা দুর্যোগেও সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিরলসভাবে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: নুসরাত ইমরোজ হৃদিতা