প্ল্যাটফর্ম নিউজ, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০
বর্তমান বিশ্বের মহাসংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টায় অনবরত কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বের সবক’টি দেশ। সময়ে সময়ে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ; লকডাউন, কার্ফিউ, শর্ত সাপেক্ষে চলাফেরার অনুমতিসহ নানা রকম পরিকল্পনা গ্রহন করে কিভাবে রোগটির সংক্রমণ কমনো যায় বিভিন্ন দেশে সেই চেষ্টা চলছে সংক্রমণের শুরু থেকেই। বাংলাদেশেও সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই নানা উদ্যোগ নেয় সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এবার “মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক” করে পরিপত্র জারি করলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আজ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-১ অধিশাখার উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে ১২টি নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
পরিপত্রের শুরুতেই সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত, কর্মচারি ও সংশ্লিষ্ট অফিসে আগত সেবা গ্রহীতাগণদের বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এই মর্মে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল সহ সকল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, গীর্জাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়, শপিংমল, বিপণিবিতান, দোকান, হাট-বাজার, গণপরিবহন, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সকল শিল্প কারখানা, হকার, রিক্সা চালক ও ভ্যানচালক সহ পথচারী, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদিতে কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারী, সেবা প্রদানকারী ও গ্রহীতাগনদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনাটি নিশ্চিত করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশে আগত ব্যক্তি ও বাড়িতে করোনা উপসর্গসহ কোন রোগী থাকলে পরিবারের সকলের মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশনা প্রদান করা হয় পরিপত্রটিতে।
উল্লেখ্য, গত ৮ই মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগি শনাক্তের মাধ্যমে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। আজ সংক্রমণের ১৩৫তম দিনে দেশে এ পর্যন্ত সর্বমোট কোভিড শনাক্ত রোগী ২,১০,৫১০ জন ও মৃত্যুর সর্বমোট সংখ্যা ২,৭০৯ জন এবং প্রতিনিয়তই তা বেড়ে চলেছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির এ সংকটময় মুহূর্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে জারি করা পরিপত্রটি সকলে মেনে চললে সংক্রমণের লাগাম টানা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।