আজ ৩ ফেব্রুয়ারি,২০১৮।
আজ সকালে মিটফোর্ড হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকের উপর রোগীর লোক হামলা করে পালিয়ে যায়।
মেডিসিন ইউনিটের একজন সহকারী রেজিস্ট্রার ও ইন্টার্ন ডাক্তাদের উপর হামলা চালায় রোগীর আত্নিয়-স্বজনগন ।
রাউন্ডের সময় রোগীর লোককে, রোগীর স্বার্থেই বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসককে গালিগালাজ শুরু করে করে। গালিগালাজের একপর্যায়ে আরও কয়েকজন বহিরাগতকে সাথে নিয়ে কর্তব্যরত সহকারী রেজিস্ট্রার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের উপর হামলা করে অবশেষে পালিয়ে যায়।
মাত্র ত্রিশজন আনসার নিয়ে পুরো হাসপাতালের নিরাপত্তা শিফট ভিত্তিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এরকম অপ্রতুল লোকবল নিয়ে এত বেশি সংখ্যক রোগীর লোক নিয়ন্ত্রণ করা কখনোই সম্ভব হয়ে ওঠে না তখন ।বারবার হাসপাতালের পরিচালক বরাবর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানালেও তিনি তার সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন।আজকে অবশেষে এই নিরাপত্তার অভাবে আহত হন কিছু চিকিৎসক।
এমতাবস্থায় সকল ইন্টার্ন ডাক্তার নিজেদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবং হাসপাতালে যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৬ দফা দাবীতে অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতি পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতালে অবস্থানরত চিকিৎসকগণ।
চিকিৎসকগণ জানান, এই দাবি শুধু মিটফোর্ড নয়, সারাদেশের সব জায়গায় তারা কর্তব্যরত সকল ডাক্তারদের উপর হামলা, নির্যাতনের অবসান চান তারা।
আহত এক চিকিৎসক বলেন ” আমরা বাংলাদেশের সকল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, হাসপাতাল , প্রতিষ্ঠানে নিজেদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল চাই।এভাবে আর কতদিন বাঁচা যায় ? এই জন্যই কি চিকিৎসক হয়েছি?এভাবে মানুষের সেবা করা যায়? ”