একজন জুনিয়র ডাক্তার সাধারণত তার সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত হন না, কিন্তু ভাষা মুখার্জি এর ব্যতিক্রম।
তিনি তার কর্মজীবনের প্রথম দিন শুরু করেন মিস ইংল্যান্ড খেতাব লাভের পর। ২৩ বছর বয়সী, ভাষা তার জীবনের প্রথম শিফট করেন বোস্টনের Pilgrim হস্পিতাল এ। তিনি ইংল্যান্ডের ডার্বি শহরের বাসিন্দা।
এক সাক্ষাৎকারে Medscape news Uk কে তিনি জানান, এই সপ্তাহটা সবচেয়ে স্নায়ু উদ্দীপক সপ্তাহ ছিল। আমি অনেক উদ্বিগ্ন ছিলাম মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ফাইনাল ও আমার কাজের প্রথম দিন শুরু হতে চলেছিল এবং সাথে এই অর্জন আমার কর্মজীবনে কীরকম প্রভাব ফেলতে চলেছে তা নিয়েও আমি চিন্তিত ছিলাম। আমি মিস ইংল্যান্ড খেতাব জেতা – হারা এবং আমার নতুন চাকরি যেটা পাওয়ার জন্য আমি পাঁচ বছর কষ্ট করেছি, এই দুটো নিয়েই সমানভাবে উদ্বিগ্ন ছিলাম।
ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যাম থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর এটাই ডাক্তার মুখার্জীর প্রথম চাকরি। তিনি পাঁচটি ভাষা জানেন এবং তার আইকিইউ (IQ) ১৪৬. যদিও সচরাচর এরকম দেখা যায় না, তবে ডাঃ মুখার্জী মনে করেন দুটো কাজেই ভারসাম্য রক্ষা করতে সক্ষম হবেন তিনি।
“আমি মনে করি জীবনের নির্যাস হচ্ছে ভারসাম্য রক্ষায়। আমি কখনও ৯-৫ টা কাজ করা অসুখী কোন মানুষ হতে চাই নি, যিনি নিজের কাজকে ভালবাসতে পারেন না। অনেক বেশি ব্যস্ততা বা সময় না থাকাটা, আমার কাছে অযুহাত মাত্র। আমার কাছে হাসপাতালে কাজ করাটা, সম্পূর্ণ সৌন্দর্যের কথা না ভেবে রোগীদের ব্যাপারে মনোনিবেশ করা। এটা অনেকটা থেরাপীর মত, কোন কাজে ব্যস্ততার কারণে, ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা। আবার এই খেতাব আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। ছুটির দিনে, আমি সম্পূর্ণ অন্য কেউ হতে পারবো, আমার দেশকে গর্বিত করতে পারবো।”
তিনি আরো জানান,
“আমার প্রথম রোগী আমাকে চিনতে পেরেছেন। আমি হাসপাতালের সবচেয়ে কর্মব্যস্ত ওয়ার্ডে কাজ করি, যেখানে মানুষ অনেক অসুস্থতা নিয়ে আসেন, কাউকে চেনা দূরে থাক। আমার ভাল লাগে, একদম কেউ না হয়ে কাজ করতে।”
ডাঃ মুখার্জী এখন আন্তর্জাতিক মিস ওয়ার্ল্ড, লন্ডন খেতাবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মিস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস রাউন্ডের টেস্ট ফিটন্যাস লেভেলের জন্য তিনি এখন ডার্বি শহরের একটি জিমে বক্সিং ট্রেনিং নিচ্ছেন।
এছাড়াও, অন্য আরেকটি রাউন্ড, বিউটি উইথ পারপাস এর জন্য তিনি Diabetes Uk এর সাথে কাজ করছেন।
তিনি বলেন,
“মিস ওয়ার্ল্ডে হারি কিংবা জিতি, আমার ইচ্ছা থাকবে সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।”
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার
সুবহে জামিল সুবাহ
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ(২০১৪/১৫)