সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল। আগে এ নীতিমালা প্রকাশ করত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার বিএমডিসির ওয়েবসাইটে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। বলা হয়েছে, এ নীতিমালা ‘মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৫’ নামে অভিহিত হবে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) প্রণীত নীতিমালা দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিট ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস-বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।
এবার প্রথমবারের মতো ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ’র জন্য ২০০ নাম্বারের পরিবর্তে ১০০ নাম্বার যোগ হবে এবং দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের ০৫ নাম্বারের পরিবর্তে ০৩ নাম্বার ও মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজে অধ্যয়নরতদের ১০ নাম্বারের পরিবর্তে ০৬ নাম্বার কর্তন করা হবে৷ একইসাথে নতুন গেজেট অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততির জন্য ৫% আসন বরাদ্দ থাকবে এবং উপজাতি ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ২০ টি আসন বরাদ্দ থাকবে।
নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীর যোগ্যতা–
১. আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। কেবল সরকার কর্তৃক বিদেশিদের সংরক্ষিত আসনের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
২. বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯ পয়েন্ট হতে হবে। প্রার্থীকে নিয়মিত এসএসসি ও সমমান ‘ও’ পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি অথবা সমমান ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ অবশ্যই ফিজিকস (পদার্থবিজ্ঞান), কেমিস্ট্রি (রসায়ন) ও বায়োলজিতে (জীববিজ্ঞান) ন্যূনতম জিপিএ–৪ পয়েন্ট থাকতে হবে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের বায়োলজিতে জিপিএ–৩.৫ থাকতে হবে। সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও পার্বত্য জেলার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষা দুটিতে মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ পয়েন্ট হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ–৩.৫০ পয়েন্টের কম গ্রহণযোগ্য নয়।
৩. যে শিক্ষাবর্ষের জন্য মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করবেন সেই ইংরেজি বর্ষ বা পূর্ববর্তী ইংরেজি বর্ষে প্রার্থীকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে। সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে তাঁর এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাসের পূর্ববর্তী দুই শিক্ষাবর্ষের মধ্যে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করতে হবে।
প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া–
এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করা হবে। এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এবং ভর্তির জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। কোনো শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি পরীক্ষায় সদ্য উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মোট নম্বর (এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ–এর ১০ গুণ + এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ২০ গুণ + ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর)-এর ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। পূর্ববর্তী বৎসরের এইচএসসি পাস প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৩ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৬ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
সরকারি ও বেসরকারি সব মেডিকেল কলেজের জন্য একই সঙ্গে একই প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ৩০ দিন পর সরকারি ও বেসরকারি সব ডেন্টাল কলেজ এবং ডেন্টাল ইউনিটের জন্য একই সঙ্গে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইংরেজি মাধ্যমের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষা নম্বর বন্টন
লিখিত ভর্তি পরীক্ষা ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়ভিত্তিক বিভাজন পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান ১০ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
প্ল্যাটফর্ম প্রতিবেদক: মঈন উদ্দিন আহমদ শিবলী