মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের আসছে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই দাবি করে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিতে পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েল সভাকক্ষে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক মিটিং শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
পরীক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে কমিটি প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে শুরু করে কেন্দ্রে পৌঁছানো পর্যন্ত মনিটরিং করছে।
“নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো ধরনের সুযোগ নাই এই পরীক্ষায়।”
প্রশ্নফাঁসের কোনো গুজবে কান না দিতে অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, “কোনো কিছু শুনলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।”
গুজবে কান না দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করতে বলেন মন্ত্রী।
আগামী ৬ অক্টোবর সারা দেশের ২০টি কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর পাঁচটি কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরের ১৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে মন্ত্রী জানান, এবার ৮২ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আবেদন করেছেন।
এদের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত নয় হাজার ৩৪৩ জন দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
এর মধ্যে ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন তিন হাজার ৩১৮ জন; আর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন ছয় হাজার ২৫ জন।
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে বৈঠকে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ছাড়াও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “অন্যান্যবারের মত এবারও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে কিনা- তা মনিটরিং করা হবে।”
অন্য বছরগুলোতে যারা গুজব ছড়িয়ে তাদের উপর নজরদারি বাড়ানো বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
সূত্র: বিডিনিউজ ২৪