গত ৭ জুলাই সরকারের জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম সভায় বলা হয়, প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রাম + ডিএল মেথিওনিন ১০০ মিলিগ্রাম কম্বিনেশন পদটিতে মেথিওনিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ঝুঁকির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য টেকনিক্যাল সাবকমিটির সভায় উপস্থাপিত হলে সদস্যরা বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করেন। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪০তম সভায় বিএনএফ-৬১ রেফারেন্সের ভিত্তিতে ওই ওষুধটি অনুমোদিত হলেও বর্তমানে বিএনএফ ৬৯-এ তা অন্তর্ভুক্ত নেই। এ ছাড়া এ পদটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এমএইচআর) কর্তৃক অনুমোদিত নয়। এ ছাড়া ওই কম্বিনেশন পদটিতে মেথিওনিনের উপস্থিতির কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হৃদরোগ, ক্যান্সার, হেপটিক এসেফালোপ্যাথি, ব্রেন ড্যামেজ, এসিডোসিসের ঝুঁকি থাকায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এটি প্রত্যাহার করে নেয় ব্রিটিশ উদ্ভাবক কম্পানিটি। তা ছাড়া ১২ বছরের নিচের কোনো শিশুর জন্য মেথিওনিন সুপারিশকৃত না থাকায় এটি অবাধে ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে বিস্তারিত আলোচনা পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই ওষুধটি সর্বসম্মতক্রমে বাতিল করা হয়।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাতিলকৃত প্যারাসিটামল ৫০০ মিলিগ্রাম + ডিএল মেথিওনিন ১০০ মিলিগ্রাম কম্বিনেশনের ওষুধটি একমি ল্যাবরেটরিজ ‘ফাস্ট এম’, বায়োফার্মা ‘এসিটাসফট’, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল ‘ফেভিমেট’, এসকেএফ ‘টামিপ্রো’, ইবনে সিনা ‘সফটপারা’, লিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস ‘মেটাক’, নভেলটা বেস্টওয়ে ফার্মাসিউটিক্যালস ‘নরসফট’, অপসোস্যালাইন ‘জিয়াসেট’, অপসোনিন ফার্মা ‘রেনোমেট’, রেনাটা ‘প্যারাডট’, শরিফ ফার্মাসিউটিক্যালস ‘প্যারামিন’, সোমাট্যাক ফার্মাসিউটিক্যালস ‘একটল এম’, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ‘এসি সফট’, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ‘নাপাসফট’ ও জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস ‘পামিক্স এম’ নামে বাজারে ছাড়ে।
যুক্তরাজ্যে ১৯৯৭ সালেই প্যারাসিটামলের সঙ্গে মেথিওনিন যৌগের মিশ্রণ বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি কিভাবে ২০১১ সালে এ ওষুধটির অনুমোদন দিয়েছে তা বোধগম্য নয়।
তথ্যসূত্র : দৈনিক কালের কন্ঠ
পরিমার্জনা: বনফুল
বেক্সিমগ্রুপেের চাল মনে হচ্ছে। কারন সালমান এফ রহমান। ডি এল মিথিওনিনের ক্ষতিকর মাত্রা হচ্ছে ৬০০০। কিন্তু এই কম্বিনেশনে থাকে মাত্র ১০০ যা তেমন কোন ক্ষতি করেছে এমন কোন তথ্য কোথাও নেই। অপর দিকে প্যারাডট নাপার একক মার্কেট খেয়ে ফেলছিল। তাই তড়িঘড়ি করে নাপার মার্কেট ফিরিয়ে আনতে একটা ইন্টার্ণাল রাজনীতি চলছে। যদি ক্ষতিকর হয় তাহলে অবশ্যই আমরা প্রেসক্রাইব করব না। কিন্তু এই রাজনীতি কাম্য নয়। প্রকাশিতও হয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের পত্রিকা কালের কন্ঠে।
Very good news.
জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার পর এভাবে বাজার থেকে ঔষধগুলো তুলে নেয়া হয়!!! 🙁
আমাকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা বাজারজাতকরণের অনুমতি কে দেয়, এটা প্রেসক্রিপশনে কারা লেখে? আমি লজ্জা পেয়েছিলাম। 🙁
very good..
আহারে রেনেটার প্যারাডট রে :p