আটতলা ভবন। পুরোটাই বলতে গেলে ফাকাঁ কেবল সাততলা আর চারতলা ছাড়া। চারতলার একপাশে পেডিয়াট্রিকস্ ওয়ার্ডের দুটো ইউনিট, অন্যপাশে কার্ডিওলজি। ডাক্তারদের জন্য একটা মিনি লিফট। লিফটে নামার জন্য সামনে দাড়াতেই পাশে এসে দাড়ালেন আমাদেরই কার্ডিওলজির একজন এসোসিয়েট প্রফেসর। সাথে আরেকজন মিড লেভেল ভাইয়া।
ব্রাজিলের হার নিয়ে স্যার খুবই হতাশ।
যাই হোক, যে জন্য পোস্ট টা দেয়া। লিফটে ওঠার পর স্যারকে জিজ্ঞেস করলাম, “স্যার আমাদের হাসপাতালে Cath Lab কি কখোনোই হবে না? ”
মনে হলো স্যারের হতাশাটা আমি আরোও বাড়িয়ে দিলাম। স্যার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “টাকা চায় “।
– স্যার ,কে টাকা চায়?
– উপরের লোকজন।
-!!! কার কাছে চায়?
– হাসপাতালের কাছে।
– মানে স্যার…. ডিপার্টমেন্টের কাছে?
– আরে না রে বাপ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তারও উপর মহলের লোকজন টাকা চায়। আমরা এতো ঝোলাঝুলি করেও কিছু করতে পারতেছি না।
– তার মানে স্যার…. সরকারেরই এক অংশ তাদের আরেক অংশের কাছে টাকা চায়!!!
– দেশটাই এরকমই হয়ে গেছে। কি করবা, কিচ্ছু করার নাই।
আমাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, সরকারের উপর মহলকে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে না পারায় এখানে এতো বড় একটা CCU থাকলেও কোন cath lab নাই। যার জন্য সামান্য একটা একটা angiogram করতে এখানকার রোগীদের ঢাকায় দৌড়াতে হয়। কারো কোন মাথাব্যথা নাই!