আজ ২৭ জুন ২০১৭ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউ তে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়াস সার্ভিস কর্মী এবং হাসপাতালের সকল ডাক্তার ও স্টাফদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো গেলেও আইসিউ এর অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সৌভাগ্যক্রমে এসময় আইসিইউ তে চিকিতসারত কোন রোগীর কোন ক্ষতি হয় নি।
তাৎক্ষনিক ভাবে অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত না জানা গেলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় এবং স্বাস্ত্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরনের আশ্বাস দেয়া হয়েছে ।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান এবং এনেস্থেসিয়া বিভাগের প্রফেসর ডা. ফজলুল হক পাঠান স্যারের ফেইসবুক স্ট্যাটাস এ উঠে এসেছে অগ্নিকান্ডে কিছু খণ্ড চিত্র। স্ট্যাটাসটি প্ল্যাটফর্মের পাঠকদের জন্য তুলে দেয় হচ্ছে।
“অদ্য সকাল ১০:০০টায় ইউনিট সংলগ্ন জীবন রক্ষাকারী দূর্মূল্য যন্ত্রপাতির স্টোররুমে ? বৈদ্যূতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ঘটনার আকস্বিকতায় ধূয়ার প্রাবল্যে কর্মরত স্টাফগন হতভম্ব হয়ে বের হয়ে আসে। ছয়জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল,তার মধ্যে তিনজন লাইফসাপোর্টে।তাৎক্ষনিক উপস্হিত হয়ে অগ্নিনির্বাপক দলের তৎপরতা দেখছি আর সময় কাউন্টডাউন করছি- বিদ্যুৎ বন্ধ করার কারনে ভেন্টিলেটরের ব্যাটারি ব্যাকআপ শেষ হলেই রোগীদের মৃত্যূ অবধারিত।অন্য তিনজন ধূয়ার কারনে অক্সিজেন স্বল্পতায় মারা যাবে।
স্বজনদের আহাজারিতে বিভীষিকাময় পরিবেশ।ফায়ারম্যান হঠাৎ চিৎকার দিলেন-ধূয়া কমেছে,জলদী রোগী বের করুন।স্টাফগন ভিতরে যেতে দ্বিধান্বিত।দায়িত্ববোধের তাড়নায় দৌড়ে ভিতরে গেলাম,পিছনে সকল স্টাফ।কমান্ডো স্টাইলে আম্বুব্যাগ সাপোর্টে সকলকে বের করে আনা হলো।সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে কারো মৃত্যু হয় নাই।শুকরিয়া।
এখন সিসিইউতে সবাই চিকিৎসাধীন।
মাননীয় স্বাস্হ্যমন্ত্রী ও ডিজি মহোদয়কে কৃতজ্ঞতা-তাৎক্ষনিক ফোনকলে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেয়ায়।স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজকে ধন্যবাদ-উপস্হিত থেকে নির্দেশনা দেয়ার জন্য
বীর ফায়ার ফাইটারদের প্রতি নত মস্তকে শ্রদ্ধা-সহস্রাধিক রোগীসহ নয়তলা হাসপাতাল ভবনটিকে রক্ষা করার জন্য।”