লেখকঃ ডাঃ মারুফুর রহমান অপু (HMO, DMCH)
১) দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি হাসপাতাল বারডেমে “ভুল চিকিৎসার” অভিযোগে ৫০-৬০জন লোক মিলে পুলিশি প্রভাব খাটিয়ে ৩-৪ঘন্টা ধরে ডাক্তারদের মারধোর, মহিলা ডাক্তারকে টয়লেট ভেংগে বের করে কমোডে মাথা থেতলে দেয়া!
গণমাধ্যমে খবর: ভুল চিকিৎসার অভিযোগ থেকে বাচতে ডাক্তারদের ধর্মঘট নাটক। রোগীদের দূর্ভোগ!
২) কোন প্রকার অনুমতি ব্যাতিত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিনের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের রুমে ঢুকে “ভুল চিকিৎসা” ধরতে যেয়ে স্যারের কলার ধরা এবং অপমান করে ভিডিও ফুটেজ গ্রহন। ততক্ষনে বাকি ডাক্তারেরা জানতে পেরে সাংবাদিকের ক্যামেরাসহ আটক। ডিরেক্টরের প্রহরায় তাদের অবস্থান এবং আরো সাংবাদিকের আগমন। টিভিতে নিউজ- “খবর সংগ্রহ করতে যেয়ে সাংবাদিক প্রহৃত” ফলে সাংবাদিকদের সাথে তরুন ডাক্তারদের হাতাহাতি ক্যামেরা ভাংচুর। সাংবাদিক কর্তৃক ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা। সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সর্বস্তরের ডাক্তারদের মানব বন্ধন।
গণমাধ্যমে খবর: খবর সংগ্রহ করতে যেয়ে সাংবাদিকদের প্রহার করেছেন চিকিৎসকেরা
(অধ্যাপককে অপমান করার অংশটি চেপে যাওয়া হল)
৩) রাজশাহী মেডিকেল কলেজে তথাকথিত “ক্রিটিক্যাল” রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে রোগী ও সাংবাদিকের অসন্তোষ। পুলিশ প্রহরায় সাংবাদিক ও রোগীর লোক কর্তৃক তিনজন ডাক্তারকে মেরে মাথা, নাক ফাটিয়ে দেয়া। বাকি ডাক্তারেরা টের পেয়ে সাংবাদিকদের সাথে ডাক্তারদের মুখোমুখি সংঘর্ষ। হামলার প্রতিবাদে ইন্টার্নী ডাক্তারদের ধর্মঘট।
গণমাধ্যমে খবর: ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, প্রতিবাদ করতে যেয়ে সাংবাদিকদের মারধোর করলেন সন্ত্রাসী ডাক্তারেরা!
( উল্লেখ্য সেই কথিত মৃত রোগী এখনো হাসপাতালে বসে নিজের মরে যাওয়ার খবর পড়ছে!)
৪) সলিমুল্লাহ মেডিকেলে সাংবাদিকদের হামলার অভিযোগে ডিরেক্টরসহ ৫জন ইন্টার্নী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা। এর মাঝে দুজন ঘটনাস্থলে উপস্থিতই ছিলেন না!
৫) খবরে প্রকাশ: রাজশাহী ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সাংবাদিকদের উপর হামলার অভিযোগে ইন্টার্নী চিকিৎসকদের সনদ বাতিল করার ঘোষনা দিয়েছেন।
উপাচার্যের প্রেস রিলিজ: আমি এ ধরনের কোন কথা বলিনি।
প্রিয় সুশীল সমাজ, এরপরেও কি আপনারা আমাদের কাছে ভুল চিকিৎসা নিতে আসবেন নাকি সাংবাদিকদের কাছে সঠিক চিকিৎসার জন্য যাবেন?
এখনো কি সময় হয়নি এসব জন্ডিসে আক্রান্ত মিডিয়া বর্জন করার?
well said
share it