আজ সকাল থেকেই কার্ডিওলজি বিভাগে আমরা রংপুর মেডিকেল কলেজের ৪২ তম এবং ৪৩ তম ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মরত ছিলাম।হঠাৎ করেই দুপুর ১টার দিকে একজন রোগী Sudden cardiac arrest এ মারা যায়।আমাদের সিনিয়র স্যাররা এবং আমরা সবাই ঐ রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদান করেছি।তা সত্ত্বেও রোগীর আত্নীয় স্বজনদের অভিযোগ আমরা নাকি তাদের ঠিকমত চিকিৎসা দেই নি।কিছুক্ষণ পরেই তারা CCU র ভিতরে গিয়ে নার্সদের সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে এবং ডাক্তারদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।এক পর্যায়ে রোগীর আত্নীয়স্বজনেরা আমাদের ইন্টার্ন রুমে এসে ডাক্তারদের সাথে হাতাহাতি শুরু করে এবং মারধরের চেষ্টা করে।খবরটা যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের অন্যান্য ইন্টার্নরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং হামলাকারীদেরকে আটক করে ফেলে।তৎক্ষণাৎ পরিচালক স্যারকে ফোন দেয়া হয় এবং পুলিশ ফোর্স হাজির হয়।আসামীকে পুলিশের হাতে রেখে আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পরিচালক স্যারের সাথে মিটিং এ বসি।ঐ মিটিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান,সহকারী,সহযোগী অধ্যাপকবৃন্দ,অন্যান্য সিনিয়র স্যার এবং ইচিপ,রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।মিটিংয়ে আমরা নিরাপদ কর্মস্থলের দাবি জানাই।সেই সাথে ঐ আসামীকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির জন্য আবেদন করি।আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় যদি এই আসামীর উপযুক্ত বিচার না হয় তাহলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হব।তখন পরিচালক স্যার আসামীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
.
রেফারেন্স হিসেবে রোগীর আত্নীয়স্বজনেরা আমাদের উপর যেভাবে চড়াও হয়েছিল তার সচিত্র প্রমাণ দেয়া হল।
#হোক_প্রতিরোধ
.তথ্য ও ছবিঃ
ডাঃচৌধুরী ফাহিম আবতাহী
ইন্টার্ন চিকিৎসক
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সেশনঃ২০১৩-১৪