প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৮ জুন, ২০২০, সোমবার
করোনার এ সময়ে প্রতিনিয়ত নিজেদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানুষ প্রমাণ করছে মানবিকতা আজ ও বেঁচে আছে। করোনার ভয় মানবিকতা কে হারাতে পারে নি।
রবিবার দুপুরে মুগদা হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাতে আসা ব্যক্তিদের ভীড়ের ছবি তুলতে এসেছিলেন দুই ফটো সাংবাদিক। দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকার ফটো সাংবাদিক রুবেল রশিদ এবং ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের ফটো সাংবাদিক সৌরভ লস্কর। কিন্তু এসে যা দেখলেন তাতে তারা হতবাক হয়ে গেলেন। হাসপাতালের সামনে প্রখর রোদের মধ্যে একটি ছেলে বেহুশ হয়ে পড়ে থাকলেও করোনা আতঙ্কে কেউ তাকে উদ্ধারের জন্য কাছে যায়নি।
সাংবাদিক রুবেল রশিদের মন মানলো না। পেশার কথা ভুলে গিয়ে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে এগিয়ে গেলেন। দেখলেন ছেলেটি জীবিত আছে। একটু পানি পান করাতেই সে জ্ঞান ফিরে পায়। পরে তার মাথায় পানি ঢালেন তিনি।
ছেলেটি জানান, তার নাম আল আমিন। রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজার এলাকায় তার চায়ের দোকান আছে। কয়েকদিন থেকে সর্দি-জ্বরে ভুগছেন। তাই বোনকে নিয়ে মুগদা হাসপাতালে করোনার নমুনা দিতে এসেছিলেন। জানা যায়, ছেলেটির লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে করোনার ভয়ে নিজের বোনটিও তাকে ছেড়ে চলে যায়।
ফটো সাংবাদিক জানান,
‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’
– এ কথাটি যেন করোনার এই সময়ে মানুষ ভুলে যাচ্ছে। ফটো সাংবাদিকের কাজ ছবি তোলা। পেশার বাইরে গিয়ে সাংবাদিক রুবেল রশিদ যেটা করেছে সেটা মানবিকতার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।