আবারো মানবিকতার চরম দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দ।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়ে ভর্তির টাকা জোগার করতে পারতেছিলেন না, রিকশাচালক ফরিদ আহম্মেদ বাকির মেয়ে ফরিদা আকতার। তার বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের জরমনদী গ্রামে।
গাইবান্ধার রিকশাচালক পিতার মেধাবী সন্তান মোছাঃ ফরিদা আক্তারের ভর্তির সমস্ত ফি এবং আনুসাঙ্গিক খরচ বহনের দায়িত্ব নিলেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এস এম খবিরুল ইসলাম ও অনান্য শিক্ষকবৃন্দ।
ফরিদপুরের স্বনামধন্য জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া’র মাধ্যমে বিষয়টি অধ্যক্ষ স্যারের নজরে আসে এবং তিনি খুব দ্রুত ফরিদার ভর্তির জন্য অনান্য শিক্ষকবৃন্দের সহায়তায় একটি তহবিল গঠন করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফরিদ আহম্মেদ বাকির ২ মেয়ে ও ১ ছেলের মধ্যে ফরিদা আকতার সবার বড়। তিনি ২০০৯ সালে জরমনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, ২০১২ সালে সুন্দরগঞ্জ আমিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, ২০১৫ সালে একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস ও ২০১৭ সালে ঢাকার ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। গত ৫ অক্টোবর রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে ফরিদা আকতার উত্তীর্ণ হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।
এ ছাড়া ফরিদ আহম্মেদ বাকির ছোট মেয়ে ফারজানা আকতার ২০১৩ সালে জরমনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, ২০১৬ সালে সুন্দরগঞ্জ আমিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। সে এখন দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।
ছোট ছেলে মো. সাব্বির হোসেন সৌমিক গাইবান্ধা শহরের সিরাতুল মুস্তাকিন ক্যাডেট মাদরাসায় ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
উল্লেখ্য, মোছাঃ ফরিদা আক্তার এর ভর্তি পরীক্ষার রোল ১৯০৮৭৪ এবং সিরিয়ালঃ ৬২( ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ)। ফরিদা’র ভর্তির তারিখঃ ২০/১০/২০১৮।