পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের বড় বড় বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ল্যাবগুলো নিয়ন্ত্রণ করে চিকিৎসকগণ। বায়োমেডিক্যাল রিসার্চে যত নোবেল এসেছে তাও এসেছে চিকিৎসকদের হাত ধরেই। বাংলাদেশী যেসব চিকিৎসকগণ ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীগণ এ পথে হাঁটতে চান, তাদের জন্য নিম্নলিখিত প্রাথমিক তথ্যগুলো জানা খুবই জরুরি।
রিসার্চ এর প্রকারভেদ:
মেডিকেল সেক্টরের রিসার্চ দুই ধরনের –
১। বায়োমেডিকেল রিসার্চ :
ল্যাবরেটরীতে বিভিন্ন সেল, এনিমেল, হিউম্যান ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা।
২। পাবলিক হেলথ রিসার্চ :
বিভিন্ন রোগের ইন্সিডেন্স, প্রিভিলেজ, রেট ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা।
রিসার্চ শুরু করার পূর্বপ্রস্তুতি:
১। প্রচণ্ড ইচ্ছা শক্তি, প্যাশন এবং সর্বোপরী ডেডিকেশন।
২। ডিগ্রী –
(ক) বায়োমেডিকেল রিসার্চ এর ক্ষেত্রে :
দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োমেডিকেল একটা সাব্জেক্টে মাষ্টার্স ডিগ্রী। ইউরোপ আমেরিকায় পিএইচডির জন্য মাষ্টার্স শর্ত। ডাক্তারগণ করতে পারেন এমন কিছু বায়োমেডিকেল সাব্জেক্ট হলো মাষ্টার্স ইন ফার্মাকোলজী, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহে এক/দুইদিন ক্লাস করে এসব কোর্স সম্পন্ন করা যায়। একটা মাষ্টার্স থাকলে অন্য অনেকের চেয়ে অনেক বেশী এগিয়ে যাওয়া যায়।
(খ)পাবলিক হেলথ রিসার্চ এর ক্ষেত্রে :
যেকোনো ভার্সিটি থেকে এমপি এইচ ডিগ্রী,
রিসার্চ এর ব্যাসিক তৈরি হয়ে যাবে এতে। আর জি আর ই, যা আমেরিকার ভার্সিটির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর্টিকেল এর প্রকারভেদ:
আর্টিকেল হলো দুই রকম –
১। রিসার্চ আর্টিকেল :
নিজের গবেষণা লব্ধ ফলাফল।
২। রিভিউ আর্টিকেল :
অন্যের গবেষণা পড়ে নিজে নতুন কোন ফাইন্ডিং বের করা। আমাদের দেশে রিভিউ আর্টিকেল বের করা তুলনামূলক সহজ এবং এটি পরবর্তীতে প্রফেসর এবং স্কলারশিপ পেতে খুব ভূমিকা রাখবে।
রিভিউ আর্টিকেল লেখার উপায়:
এক্ষেত্রে গুগলই যথেষ্ট। নিজে একটি টপিক বাছাই করে নেটে সার্চ দিয়ে ঐ রকম টপিক নিয়ে কি কি আর্টিকেল আছে তা খুঁজে বের করতে হবে। একটি রিভিউ আর্টিকেল লিখতে সময় ও ধৈর্য নিয়ে মোটামুটি ৭০-৮০ টি আর্টিকেল পড়তে হতে পারে।
আর্টিকেল সম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে চোখ রাখুন ২য় পর্বে।
লেখক:
Sharif Qadri
Aichi Medical University
প্ল্যাটফর্ম ফিচার রাইটার:
সামিউন ফাতীহা
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর
সেশন: ২০১৬-১৭