রেসিডেন্টদের ভাতা বৃদ্ধি, আবাসিক হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান স্যারের সাথে প্ল্যাটফর্মের আলাপচারিতায় রেসিডেন্সি ভাতা বৃদ্ধির ব্যাপারে পদক্ষেপের কথা সহ রেসিডেন্টদের জন্য নতুন হল নির্মাণের কথা জানানো হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান স্যারের ধারাবাহিক স্বাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মের পাঠকদের জন্য।
অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান স্যারের বক্তব্যঃ
প্ল্যাটফর্মঃ বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে রেসিডেন্সি ভাতার সমন্বয় করা হবে কিনা?
অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খানঃ এমন কোন লেভেল নেই যেখানে স্পেশালি এই বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলি নি। এটা নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংসদীয় কমিটির সাথে একাধিক বার, মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সাথে, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। কিন্তু বাজেটের সীমাবদ্ধতার জন্য তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। আমি একটি কথা খুব পরিষ্কারভাবে বলি, এই রেসিডেন্সি প্রোগ্রামে যে ভাতাটি দেয়া হচ্ছে সেটি চলবে। এটি কখনো বন্ধ হবে না। এ ব্যাপারে আমার যে ধারণা, রেসিডেন্সি প্রোগ্রামকে সম্পূর্ণ করতে পারলে আমাদের চিকিৎসা বা শিক্ষার মান অনেক উপরে উঠে যাবে। এই রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম যেটি আমেরিকায় চলছে, যেটি ভারতে চলছে, আমি ভারতের এআইএমস এ দেখে এসেছি সেখানে প্রতি ছাত্রকে নূন্যতম ৫০ হাজার রুপি দেয়া হয়। আমেরিকাতেও এমন ভাবে দেয়া হয় যাতে সেখানে তারা সংসার চালাতে পারে। সেরকম যদি আমরা না দিতে পারি তাহলে রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন হবে না। আমাদের এখানে সিনিয়র রেসিডেন্টরা যদি নিয়মিত হাসপাতালে সেবা দেয় সেক্ষেত্রে চিকিৎসার মান অনেক উন্নতি ঘটবে সে কারণে আমি ঐ লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছি। এ কথাগুলো সরকারের ঊর্ধ্বতন সকল মহলে বলেছি। আমাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে চেষ্টা করছি। দশ হাজার টাকা তো আসলে কোন টাকার মাঝেই পড়ে না। কারণ তাঁরা তো ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। একই পর্যায়ে সরকারি চাকরিতে যে বেতন পায় তার কাছাকাছি ভাতাটা হওয়া উচিত। নীতিগতভাবে এটা নিয়ে আমাদের কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম যদি করতে হয় তাহলে আমেরিকা এবং ভারতে যেভাবে চলছে এভাবেই এখানে করতে হবে, অর্থ একটা বড় বিষয়। সেটি না হলে আমাদের ছেলে মেয়েরা এখানে কি করে কাজ করবে। এটি আমরা কেবল মাত্র বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্যেই দিচ্ছি। সরকারি চিকিৎসকেরা যেরকম বেতন পাচ্ছে সেরকম ন্যূনতম ভাতা হওয়া উচিত। সরকারের সকল মহলে আমরা এ নিয়ে চেষ্টা করছি।
প্ল্যাটফর্মঃ একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাচ্ছি।
অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খানঃ এখন বাংলাদেশের সকল মেডিকেল পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্স বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পরিচালিত হয়। সর্বমোট ৪২টি মেডিকেল প্রতিষ্ঠানে ৯১টি কোর্সে পরিচালিত হচ্ছে যেখানে রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের বাইরেও ডিপ্লোমা, এমফিল কোর্স, এমপিএইচ কোর্স রয়েছে। বাংলাদেশের মত দেশে ৯১টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্স একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হওয়া একটা উল্লেখ বা গৌরবের বিষয়। পাশাপাশি আমরা রোগীর চিকিৎসা সেবা চালিয়ে আসছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৫৪টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নতুন করে ৭টি ডিপার্টমেন্ট চালু করার সিদ্ধান নিয়েছি। এর একটি বাস্তবায়িত হয়েছে-পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি। এছাড়া নতুন করে একটি অনুষদ(পেডিয়াট্রিকস) চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যার জন্য ইউজিসির অনুমতি লাগে। একটি অনুষদ এবং বাকি ছয়টি ডিপার্টমেন্ট ইউজিসির অনুমোদন পেলেই চালু করতে যাচ্ছি। অন্যদিকে ৮টি অনুষদ কার্যকর আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মানে হচ্ছে ছাত্রদের জন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সে হিসেবে যেহেতু এখানে কেবল পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্সই আমরা পড়াই, বা মেডিকেল কোর্সের ছাত্ররা ভর্তি হয়, ছাত্রদের কেন্দ্র করেই কিন্তু আমাদের সব কিছু। হাসপাতালকে আমরা সব সময় বলি, মেডিকেল শিক্ষার একটি ল্যাবরেটরি। সে হিসেবে ছাত্র-রোগী-শিক্ষক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শিক্ষাদানকে কেন্দ্র করে সব কিছু নতুন করে ভাবার চেষ্টা করছি। মেডিকেল উচ্চশিক্ষায় যেন শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে তাদের কোর্স কমপ্লিট করে, সেদিকে আমরা নজর রাখছি। এখনকার ছেলে মেয়েরা অনেক ভাল শিখছে বলে আমার ধারণা।
প্ল্যাটফর্মঃ রেসিডেন্টদের আবাসিক হল এবং অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে আপনার পরিকল্পনা জানতে চাচ্ছি।
অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খানঃ উপাচার্য হিসেবে আমার প্রধান দায়িত্ব শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা। প্রথম যেদিন যোগদান করেছিলাম আমি কিন্তু লাইব্রেরিতে গিয়েছিলাম। লাইব্রেরিতে গিয়ে আমার এত কষ্ট লেগেছে, সেই লাইব্রেরির দুরবস্থাটা দেখে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। একারণে পরবর্তী যে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সেখানে (শেরাটনের সামনে মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার যে স্থাপনাটি হচ্ছে) দুটি তলা হবে লাইব্রেরির জন্য (আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি) এবং দুটি তলা থাকবে রিসার্চ সেন্টার হিসেবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রথমত দরকার ছাত্রদের হল। যেটি নেই, আমরা খুবই কষ্টে আছি ছাত্রদের জায়গা দিতে পারছি না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রথমটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য একটি আবাসিক হলের ব্যবস্থা করা। প্রায় ১০০০ হাজার ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা মাথায় রেখে হল করা হচ্ছে।
(চলবে)
অনুলিখন ও সম্পাদনাঃ ডাঃ মোঃ মহিবুর হোসেন নীরব,
সম্পাদক, প্ল্যাটফর্ম।
চিত্র ও শব্দগ্রহণ ও সম্পাদনাঃ এস এম নিয়াজ মোর্শেদ,
এডমিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্ল্যাটফর্ম।
বনফুল রায়,
এডমিন, ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
স্বাক্ষাতকারগ্রহণ টিমঃ
ডাঃ নাহিদ উল হক,
সহকারী অধ্যাপক, ডায়াবেটিক এ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
ডাঃ সেলিম শাহেদ,
প্রভাষক, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর,
উপদেষ্টা, প্ল্যাটফর্ম।
ডাঃ মোঃ নুরুল হুদা খান,
মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,
উপদেষ্টা, প্ল্যাটফর্ম।
ডাঃ মোঃ মুরাদ মোল্লা,
উপদেষ্টা, প্ল্যাটফর্ম।
ডাঃ মারুফুর রহমান অপু,
মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,
ফাউন্ডিং মেম্বার ও সহসম্পাদক, প্ল্যাটফর্ম।
ডাঃ আহমেদুর রহমান সবুজ,
মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
https://youtu.be/OvRDjF2j_CI
বাড়ানোর সাহস আছে??
এই ভাতা ওরাই খাক।লজ্জা লজ্জা।
মনে হয় জানেন না যে এটা বন্ধ হয়ে গেছে না হয়
মশকরা করছেন
কি এমন ভাতা রে বাবা।এরচে ১ বেলা রিকশা চালাইলেও বেশি টাকা।
চালাও রিকশা
thanks to sir
নাটক করছে যাতে ভাতা বাড়াইতে না হয়।
স্বাস্থ্য খাতে এত বাজেট সরকারের কিন্তু *ভাতা* (!) বাড়ানোর টাকা নেই??!!
Hahaha…jokes of the day!
Mone hocce residents ra onar doya te beche ache! Useless VC!
স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি বাজেট না থাকলে বন্ধ করে দেন এ প্রোগাম।আমি কেন একা সাফার করবো বাজেট স্বল্পতার কারনে?সবাইকে সাফার করতে দিন।আশা করি বেশী দিন লাগবে না বাজেট পাশ হতে।
Shoitan ekta !
ধন্যবাদ মাননীয় ভিসি মহোদয়কে,স্যারের পক্ষেই রেসিডেন্টদের জন্য কিছু করা সম্ভব।কিন্তু যারা বি সি এস করা সরকারী জব করা রেসিডেন্ট তারা একি ভার্সিটির আন্ডারে একি সার্টিফিকেট পাবে,অথচ bsmmu ছাড়া বাকিদের ফেজ বি তে লাগতেছে মাত্র ২০৯০ টাকা আর bsmmu তে লাগতেছে ৬৬,৬৬০ টাকা। কতগুন হলো? একেমন কথা? মাথায় ধরে না। এব্যপারে মাননীয় ভিসি মহোদয় উদ্যোগ নিবেন বলে সকলের প্রানের দাবী। যারা নিটোর,ঢাকা মেডিকেল এর রেসিডেন্ট তারা টিটকিরি দেয় যে তোদের সার্টিফিকেট থাকবে বড়,অনেক বড়। তোদের সার্টিফিকেট এ bsmmu thakbe আর আমাদের সার্টিফিকেট এ bsmnu ছাড়া অন্য ভার্সিটি এর নাম থাকবে?
ভাতা বন্ধ করে দিলেও বলার কিছু নেই, করারও কিছু নেই।
একই ভার্সিটি এর আন্ডারে তো একই কোরসে একই ভরতি ফী, টিউশন ফী হওয়া উচিৎ নাকি কিছু কম বেশী হতে পারে? কিন্তু আকাশ পাতালতো আর হতে পারে না? অন্তত ত্রিশ গুন?