প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৮ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার
গত জানুয়ারি এর এম.ডি/ এম.এস এর পরীক্ষায় দেখা গেছে ৫০% এর অধিক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। ব্যাপারটা দুঃখজনক, এর থেকেও দুঃখজনক হলো এদের মাঝে অনেকেই শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। শুধুমাত্র লিখিত প্রশ্নের একটি গ্রুপে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে, সে শিক্ষার্থীর একটি বছর শেষ। অনেকের আবার শিক্ষা ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় পোস্টিং করোনা হাসপাতালে।
বর্তমানে বাংলাদেশে করোনার প্রথম ঢেউ চলমান না দ্বিতীয় ঢেউ এর শুরু সেটা নিয়ে বির্তক থাকলেও করোনা যে প্রকোপ আকার নিচ্ছে, সেটা নিয়ে বির্তক নেই।
ঢাকা মেডিকেল সহ অধিকাংশ হাসপাতাল (যেখানে একাডেমিক পেশেন্ট বেশি) করোনা হাসপাতালে রুপান্তরিত হওয়ায়, ইন্সটিটিউটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। বিছানা ছাড়িয়ে ফ্লোরেও এখন ঠাঁই নেই, আর রোগীর সাথে আছে তিনগুন আত্নীয়। একটু খবর নিলেই দেখবেন, সকল ইনস্টিটিউট এর ডাক্তারদের বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এমন পরিবেশে একটা শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রাকটিস করা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু না করেও উপায় নেই, কারণ বিগত এক বছর করোনা হাসপাতালে ডিউটি করে একাডেমিক চর্চা সব গোল্লায় গেছে।
এই দুটি ঘটনার মাঝে একটা সম্পর্ক আছে, তা হলো এই জানুয়ারিতে এম.ডি, এম.এস এর বিভিন্ন (ফাইনাল, ফেইজ এ/বি) পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা না নেয়া ছাড়া উপায় নেই, কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ইতিমধ্যে এক বছর নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু লিখিত পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিলেও ক্লিনিক্যাল এক্সাম নিয়ম মেনে নেয়া কি সম্ভব? আর পরীক্ষার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের যেভাবে হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে রোগী দেখতে হয় সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব?
এই লেখার উদ্দেশ্য হলো, বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা, যেন পরীক্ষা নেয়াও যায়, রিক্সও কম থাকে। যেসব শিক্ষার্থী গত জানুয়ারিতে শুধুমাত্র লিখিত অথবা ক্লিনিক্যাল এক্সামে অকৃতকার্য হরেছেন, তাদের শুধুমাত্র ওই পার্টটুকু নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় কিনা?
যেহেতু একটা শিক্ষার্থী একবার লিখিত অথবা ক্লিনিক্যাল এক্সামে গতবার পাশ করেছে, তাই তার অবশ্যই পাশ করার যোগ্যতা আছে, তাই করোনার এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে যেই ভাগে অকৃতকার্য হরেছেন, তাকে সেই ভাগ পরীক্ষা নেয়ার নিয়ম করলে অনেকগুলো শিক্ষার্থীর করোনা ঝুঁকি কমে যায়।
এ ব্যাপারে বি.এস.এম.এম.ইউ এর প্রো ভিসি (শিক্ষা), ডীন (মেডিসিন) স্যারের সাথে কিছু শিক্ষার্থী দেখা করেছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম কোন নিয়ম নাই, তাই উনারা একটি লিখিত আবেদন ও বিভিন্ন ডির্পাটমেন্ট এর চেয়ারম্যানদের জানানোর কথা বলেছেন, যেন পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে আলোচনা করা যায়।
তাই সকল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের অনুরোধ, নিজ নিজ উদ্যোগে চেয়ারম্যান স্যার/ ম্যাডামদের জানাবেন। এছাড়াও সকলে একত্রিত হয়ে একটা লিখিত আবেদন করা।
আমাদের মা-বাবা তুল্য শিক্ষকরা অবশ্যই আমাদের যেন ভলো হয় এমন সিদ্ধান্তই নিবেন। একই সাথে আমাদের দিয়ে যেন দেশ ও জাতির কোন ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারেও লক্ষ্য রাখবেন।
★অটোপাশ না, যে শিক্ষার্থী যে বিভাগে অকৃতকার্য হয়েছেন তাকে যেন কেবল, ওই পার্টটুকু দেয়ার নিয়ম করা হয়।
(সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত)