র‍্যাব পরিচয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ!

মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যারিকেড দিয়ে র‍্যাব পরিচয়ে বাস থামিয়ে বাসের এক স্টাফ ও এক মেডিকেল ছাত্রকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরে বিক্রমপুর ভূইয়া মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাকলাইন মাহমুদ রাহিমের কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (০৬ জানুয়ারি) সাকলাইনের বাবা বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের বরাতে জানা যায়, গত শনিবার (০৪ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দক্ষিণে সাদা রঙয়ের একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ ১২-৮৬৩৯) দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। পরে ঢাকা থেকে দোহারগামী আরাম পরিবহনের একটি বাসকে থামানো হয়।

বাসটিতে সাদা পোশাকে তিন জন উঠে নিজেদেরকে র‍্যাব সদস্য বলে পরিচয় দেন। চালকের ঠিক পেছনের সিটে বসা ভূইয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্র সাকলাইনকে তারা হ্যান্ডকাপ পরিয়ে বাস থেকে নামানোর চেষ্টা করেন। তবে সাকলাইন বাস থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাকে মারধর শুরু করে। এ সময় বাসটির স্টাফ আল আমিন প্রতিবাদ করলে সাদা পোশাকধারীরা দুই জনকেই বাস থেকে নামিয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে মাওয়ার দিকে রওনা হয়।

এ সময় সাকলাইনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সে ঢাকার তাঁতীবাজার থেকে বাসে উঠেছে কিনা? সাকলাইনের বাসা ধানমন্ডি এবং সে গুলিস্থান থেকে বাসে ওঠার কথা বললে র‍্যাব পরিচয়ধারীরা সাকলাইনের ব্যাগ চেক করে। সাকলাইন ব্যাগ খুলে বই ও তার পরিচয়পত্র দেখালে তারা তাকে গুলি করার ভয় দেখায়। একপর্যায়ে সাকলাইন ও আল আমিনকে পদ্মাসেতু টোল প্লাজার সামনে নামিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তারা শ্রীনগর আসেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাকলাইন গণমাধ্যমকে বলেন, “মারধরে বাম কানের পর্দা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা কেন উঠিয়ে নিলো, তা বুঝতে পারছি না। আমাদের কাছ থেকে র‍্যাব পরিচয়ধারীরা কোনো টাকা-পয়সা ও মোবাইলফোন নেয়নি। আগামী ৮ জানুয়ারি আমার পরীক্ষা। এখনো ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‍্যাব-১০ ভাগ্যকূল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “ওই সময় তাদের কোনো গাড়ি হাঁসাড়া এলাকায় টহলে ছিল না।”

শ্রীনগর থানার ওসি মো. কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরীও গণমাধ্যমকে বলেছেন, “ওইদিনই ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়েছিল। সোমবার দুপুরে মেডিকেল ছাত্র সাকলাইনের বাবা বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

প্ল্যাটফর্ম/

Moin Uddin Ahmad Sibli

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit is exhausted. Please reload the CAPTCHA.

Next Post

দক্ষিণ এশিয়ায় তামাক ব্যবহারে শীর্ষে বাংলাদেশ

Tue Jan 7 , 2025
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। এর ফলে দেশের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৩৪ শতাংশ তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হয়। আর বছরে মৃত্যুবরণ করে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে তামাক […]

Platform of Medical & Dental Society

Platform is a non-profit voluntary group of Bangladeshi doctors, medical and dental students, working to preserve doctors right and help them about career and other sectors by bringing out the positives, prospects & opportunities regarding health sector. It is a voluntary effort to build a positive Bangladesh by improving our health sector and motivating the doctors through positive thinking and doing. Platform started its journey on September 26, 2013.

Organization portfolio:
Click here for details
Platform Logo