প্ল্যাটফর্ম নিউজ, ৭ ডিসেম্বর ২০২০, সোমবার
ডা. শুভদীপ চন্দ
সম্পর্কে উদাসীনতা তো খারাপ, কিন্তু অতি সচেতনতা? মাঝ সমুদ্রে ভাসতে থাকা নৌকার মতো। নাবিক বুঝে পায় না কোন দিকে গেলে মাটির দেখা আগে পাবে।
সারা দেশ ব্যস্ত আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে। কাঞ্চনজঙ্ঘা নিয়ে। সাজেক নিয়ে। আমাদের কি! আমাদের সময় বিক্রি হয়ে আছে সরকারের কাছে অথবা কোনো প্রাইভেট ক্লিনিকে। সুশ্রী রোগী বহু অনিচ্ছা নিয়ে চোখের পাতা ফেলছে। তার স্বামী একের পর এক ফাইল বের করছে। কোনো টেস্ট বাকি নেই, কোনো হাসপাতালও বাকি নেই। যে রোগীদের সমস্যা মুখে থাকে না, কাগজে থাকে তাদের চিকিৎসা করা কঠিন। কারণ অসুস্থতা তাদের কাছে সুস্থতার অভাব নয়, বিশ্বাস। পৃথিবী যাকে রঙ দেয় নি সেও পৃথিবীকে রঙিন চোখে দেখে না। উদারতা, মেনে নেয়া, সহনশীলতা তাদের কাছে চাইতে নেই। গোটা ব্রহ্মাণ্ড তাদের কাছে তিতা রসে পূর্ণ এক মাটির ভাণ্ড। তাই সামান্য মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথাতেই সুশ্রী মেয়ে কাতর। কিন্তু ভদ্র লোকের কি? তিনি স্ত্রীকে ভালোবাসেন, অন্তত দায়িত্ব কর্তব্যে কোনো ত্রুটি রাখেন না এটা নিশ্চিত। টাকা পয়সাও আছে মোটামুটি। তবে সমস্যাটা কোথায়?
অযোগ্যতা বোধ? সংসারের দুই সম্পদ কোনো ভাবে এক হয় না। ভাল উপার্জন ও সৌন্দর্য বিয়ের ম্যাচিং পয়েন্ট হয়ে আছে বহুকাল। কিন্তু এ দুই সম্পদ কী এক? আমার মনে হয় তার স্ত্রীর নির্লিপ্ত সৌন্দর্যতা তাকে বারবার প্ররোচিত করছে যোগ্যতা প্রমাণে। তিনি অনেক কিছু করছেন দেখানোর জন্য। যেন পৃথিবীকে তার প্রেম নিয়ে অনেক কিছু দেখানো বাকি। বারবার বলছিলেন কোথায় গেলে ভাল হবে। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ডাক্তার কে? সিংগাপুরে চিকিৎসার খরচ কত? তাকে গন্ধমাদন পর্বতের ঠিকানা কেউ কেন দিতে পারছে না। চিৎকার করছিলেন। যেখানে মিল নেই সেখানে মিশের যত চেষ্টাই হোক, ‘মিলমিশ’ হয় না। অজ্ঞান উদাসীনতা কখনো কখনো নির্লজ্জ অতি সচেতনতা অপেক্ষা ভাল!