এক নারী চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে হল থেকে বের করে দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নিশিতা ইকবাল নদী ও তার অনুসারীরা।
লাঞ্ছিত চিকিৎসকের নাম রুমি পারভিন। তিনি গত ৪ঠা আগস্ট শামসুন্নাহার হলের আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। খণ্ডকালীন চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি ওই হলের ২১৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
মধ্যরাতে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার পর তিনি কোন উপায় না দেখে এবং ঢাকায় তার কোন আত্মীয়-স্বজন না থাকায় তিনি সারারাত শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে রাত্রীযাপণ করেন।
শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ থানায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামের কক্ষে তিনি একাকী বসে আছেন। তার নাকের ওপর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
তিনি জানান, নদী তার নাকে টেলিফোনের রিসিভার ছুড়ে মেরেছেন, এতে তার নাকে ক্ষত সৃষ্টি হয়। নদীর অনুসারীরা তাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি থানায়ই রয়েছেন বলে জানান।
হামলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেঁজুতি নামের একটি মেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার কাছে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা দেখে আমি বুঝতে পারি যে তার সমস্যাটা অত গুরুতর নয়। ব্যাপারটা মানসিক। একটু রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মেয়েরা হা হুতাশ করা শুরু করলে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।
অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় সেখান থেকেও ডাক্তাররা ফেরত পাঠান। এরপর রাত ১২টার দিকে তারা হলে ফিরেই অজানা কারণে আমার ওপর হামলা চালায়।