শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশের জন্য ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। গতকাল শনিবার সকালে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কর্তৃক চিকিৎসক, নার্স লাঞ্চিত ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে এই আল্টিমেটাম দেয়া হয়। আর তা হলে চিকিৎসকরা আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী পালন করবে এমন হুশিয়ারি সংকেত দেয়।
উল্লেখ্য, ২৯অক্টোবর ২০১৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আইন শৃংখলারক্ষা বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী আর হরতাল সমর্থকদের সংঘর্ষকালে কিছু হরতাল সমর্থক ও একজন সীমান্তরক্ষী সদস্য আহত হয়।গুরুতর আহতদের বিস্তারিত জরুরি বিভাগে লিপিবদ্ধ করে মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। অপরদিকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আহত সদস্যের জন্যে বাসায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডেকে পাঠানো হয়। ইভনিং ডিউটি একারণে একজন ডাক্তার কর্মরত ছিলেন আর বাসায় যেয়ে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়, তাই,একজন চিকিৎসা সহকারী ও সেবিকা পাঠানো হয়। সেসময় উপজেলার উর্ধতন চিকিৎসা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন । সন্ধ্যার সময় এক দেড়শ আইনশৃংখলারক্ষী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা উপজেলার উচ্চপদস্থ প্রসাশনিক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে হাসপাতালে চিকিৎসা সহকারী ও সেবিকাকে মারধর করে। উপজেলার উর্ধতন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং দায়িত্বরত মহিলা চিকিৎসা কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, এমনকি শারিরীকভাবে আঘাত করতে উদ্দত হয় এবং শেষে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়। পুলিশ মামলা না নিলেও রাত ১০ টা অবধি আটক রাখে। এই হল আমাদের দেশের ডাক্তার, যারা নাকি প্রথম শ্রেণীর অফিসার, তাদের অসহনীয় যন্ত্রণার চিত্র। একজন উর্ধতন চিকিৎসা কর্মকর্তাকে তার সমমর্যাদার একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা তার চেয়ে নিম্নপদস্থ অফিসার কোন সাহসে এত খারাপ আচরণ করে বা বিনা WARRANT এ আটক করে।
এছাড়াও নির্বাহী কর্মকতা চড় থাপ্পড় মারে এবং ওই তিনজনকে থানায় নিয়ে দুই ঘন্টা আটকে রেখে পরে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১১টার সময় শিবগঞ্জ হাসপাতাল চত্বরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এই অবস্থান কর্মসূচিতে বিএমএর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সভাপতি ডাক্তার আব্দুস সালাম, সাধারন সম্পাদক ডাঃ গোলাম রাব্বানী, সদস্য ডাঃ উমর ফারুক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তড়িৎ কুমারসহ বিএমএর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ডাক্তার গোলাম রাব্বানী, সাধারন সম্পাদক বিএমএ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা বলেন, উপজেলা নিবার্হী কমকর্তা মস্তিস্ক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। তিনি মানসিক রোগী তার চিকিৎসা জরুরী। তিনি তিন দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
সংবাদঃ আবু সুফিয়ান ।
amara er tibro ninda janai
Erokom step shob health complex e nite hobe ……..kisui jai Ashe na eshob manush der treatment na dile …….just nijeder safety ta important….