বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা চিকিৎসকদের অন্যতম একজন, শিশুদের বন্ধু বলা হত যাকে, জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খান’র প্রথম প্রয়াণবার্ষিক আজ।
গত বছর ঠিক এই দিনে , ৫ ই নভেম্বর শ্রদ্ধেয় এম আর খান চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে।
একটু ছোট করে জেনে নেওয়া যাক তাঁর জীবনী –
জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম আর খান এর আসল নাম মোহাম্মদ রফি খান। ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট সাতক্ষীরার রসুলপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪৬ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন। এরপর ১৯৫৬ সালে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান এবং বৃটেনের এডিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিন-এ ভর্তি হন।
১৯৭৮ সালে এডিনবার্গ থেকে ফেলো অব রয়েল কলেজ অ্যান্ড ফিজিশিয়ানস (এফআরসিপি) ডিগ্রি লাভ করেন। সরকার ১৯৯৫ সালে এম আর খানকে জাতীয় অধ্যাপক হিসাবে ভূষিত করে। স্বণামধন্য এই চিকিৎসককে ২০০৯ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়।১৯৮৮ সালে আইপিজিএমআরের (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) যুগ্ম পরিচালক এবং শিশু বিভাগের অধ্যাপক পদ থেকে অবসর নেন।
১৯৯৩ সালে ঢাকার মিরপুরে তিনি শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে সেন্ট্রাল হাসপাতাল, নিবেদিতা শিশু হাসপাতাল এবং উত্তরায় উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে ডা. এম আর খান বিবাহিত ও এক কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও একমাত্র কন্যা দৌলতুন্নেসা (ম্যান্ডি)।
শিশু চিকিৎসার ওপর তিনি অনেক বই লিখেছেন এবং এগুলো বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পাঠ্যসূচির অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। তিনি ‘শিশু বন্ধু’ হিসেবে সমধিক পরিচিত।
এই মহান অধ্যাপকের মৃত্যুবার্ষিকীতে, তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি পুরো চিকিৎসক সমাজ।
আরও জানতে ঃ জাতীয় অধ্যাপক এম. আর. খান