একটি দেশ কতো উন্নত তা কিছু সূচকের উপর নির্ভর করে, যেমন – মাথাপিছু আয়,শিশু মৃত্যু হার,বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। আরেকটি বিষয় দিয়েও উন্নত সমাজকে নির্ধারণ করা যায়, সেটি হচ্ছে রিসার্চ । সেটি কতো বেশি হচ্ছে এবং কোন পর্যায়ে হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া ও অনেকগুলো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কতৃক নতুন নতুন রিসার্চ প্রজেক্ট চলে। এই স্টাডি গুলো অনেক সময় ধরে হয়,অনেক মানুষের উপর হয়। যারা কনডাক্ট করে অথবা অংশগ্রহণ করে প্রত্যেকেই অর্থকড়ি পায়। অর্থাৎ তারা সম্পুর্ণ সময় ধরে এই অধ্যাবসায়ে থাকতে পারে। এগুলো হচ্ছে আরসিটি,কোহর্ট স্টাডি,ফলোআপ স্টাডি ইত্যাদি। আর বাংলাদেশের রিসার্চ গুলো প্রধানত হয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট কতৃক৷ এর অধিকাংশই পরীক্ষা পাসের জন্য করা হয় । যার ৯০-৯৫% ই ক্রস সেকশনাল স্টাডি যাতে সুবিধা হলো টাকা লাগে কম,সময় লাগে কম,কস্ট কম,স্যাম্পল কম,লোকবল কম। সুবিধা থাকলেও অসুবিধা হচ্ছে -এগুলো যথাযথ না করায় রিলাইএবিলিটি থাকে না। তাই উন্নত দেশের ইনডেক্স জার্নাল গুলোতে এগুলো নিতে চায় না। যার ফলে আমাদের অথবা বাংলাদেশের তেমন লাভ হচ্ছে না। কিন্ত স্টুডেন্ট দের পরীক্ষায় পাস হয়ে যাচ্ছে।
তাহলে কি করতে হবে??উন্নত বিশ্ব যেভাবে রিসার্চ করছে আমাদেরকেও সেভাবে করতে হবে। কিন্ত এগুলোর জন্য প্রয়োজন টাকা, লোকবল, প্রশিক্ষণ এবং সবার প্রথম ইচ্ছা। এগুলো কে দেবে? ব্যাপারটা সহজ নয়। তবে ইচ্ছা ও মনোবল থাকলে করা যাবে। বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশান (বিপিএ) এই কাজটি শুরু করেছে। এখানে ৫৫ লক্ষ নগদ টাকার একটা ফান্ড তৈরী হয়েছে শুধু রিসার্চের উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য৷ তবে শর্ত প্রযোজ্য । এটি শুধু পেডিয়াট্রিক রিসার্চে ব্যাবহৃত হবে। শিশুদের নিয়ে যেকোন রিসার্চ অথবা পোষ্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট স্টাডি করতে চাইলে টাকার জন্য বিপিএ তে দরখাস্ত করতে হবে, সাথে প্রটোকল থাকবে।
ঠিকানা – বিপিএ,প্লট নংঃ ৭/৩ সি,বড়বাগ,সেক্টর -২, মিরপুর, ঢাকা। এটা ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের নিকটে।
এখান থেকে ফান্ড / গ্রান্ট পেলে আপনার কাজের প্রতি দায়িত্ব ও আন্তরিকতা অনেক বেড়ে যাবে। এর সাথে নিজে যদি স্টাডি এর উপর কিছু ট্রেনিং নিয়ে নেন তখন আপনার রিসার্চ ওয়ার্ক হয়ে উঠবে উন্নত মানের বা বিশ্বমানের। তখন LANCET, BMJ,RESEARCHGATE ইত্যাদিতে আমরা এ দেশের রিসার্চ অনেক দেখতে পাবো৷ বিভিন্ন টেক্সট বুকে বাংলাদেশের স্টাডির রেফারেন্স আসবে।
নিউজ ডেস্ক/ রাহাত বিন হাবিব
ফিচার ডেস্কঃ নাহিদা হিরা, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ