ডেস্ক রিপোর্ট: উচ্চরক্তচাপ এক নীরব ঘাতক ব্যাধি। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপই দেহের ৫ টি টার্গেট অর্গান যথা ব্রেইন, হৃদপিন্ড, চোখ, কিডনি ও রক্তবাহিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু রোগ যেমন স্ট্রোক, হার্ট এট্যার্ক, ব্লাইন্ডনেস, ক্রনিক কিডনি ডিজিস এর অন্যতম প্রধান কারণ। বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ২৮ জন উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন। দুৰ্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এত বৃহৎ সংখ্যক মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক অত্যন্ত অপ্রতুল। আমাদের দেশে প্রতি ৩৪০০ জন রোগীর জন্য ১ জন করে চিকিৎসক রয়েছেন এবং তার মধ্যে অল্প সংখ্যক চিকিৎসক উচ্চরক্তচাপ চিকিৎসায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সরকারি পর্যায়ে না থাকলেও বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন। আনন্দের বিষয়, নিজস্ব স্থাপনায় হাইপারটেনশন ও রিসার্চ সেন্টার, রংপুর শুধুমাত্র হাইপারটেনশন ও এ সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান।মাত্র ৪০ টাকার বিনিময়ে রোগীরা এখান হতে জেনারেল ও বিশেষজ্ঞ সেবা পেয়ে থাকেন। ইতিমধ্যেই ২৫ হাজারের অধিক উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত রোগী অত্র প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন।সামগ্রিক চিকিৎসক অপ্রতুলতা বিবেচনা ও পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা প্রদানের নিমিত্তে অত্র প্রতিষ্ঠান চিকিৎসকদের আরো দক্ষ করে তুলতে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপসহ নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরেই।সম্প্ৰীতি চিকিৎসকদের উচ্চরক্তচাপ ও এর জটিলতার চিকিৎসা প্রদানে অধিকতর দক্ষ করে তুলতে একটি ৩ মাস ব্যাপী সার্টিফিকেট কোর্স চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল হতে আগ্রহীদের নিকট হতে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। কোর্স শুরু হবে ২৫ অক্টোবর হতে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অত্র প্রতিষ্ঠানের সিইও আনোয়ার হোসেন জানান, রংপুরের চিকিৎসকদের জন্য আপাতত কোর্সটি চালু করা হয়েছে। রংপুরের প্রখ্যাত মেডিসিন, হৃদরোগ ও কিডনি রোগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকৎসকগণ উক্ত কোর্সে লেকচার নিবেন বলে জানান মি. আনোয়ার।
রংপুর ও এর আশেপাশের আগ্রহী চিকিৎসকদের ০১৭৩০৪৪৮৬১০ নাম্বারে মুঠোফোনে বা ই-মেইলে ([email protected]) যোগাযোগ করবার আহবান জানান তিনি।ইতিমধ্যে অনেকজন চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন- যোগ করেন তিনি। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “চিকিৎসকদের অধিকতর দক্ষ ও উচ্চরক্তচাপের জটিলতা নিরূপনসহ তার চিকিৎসা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার জন্য মূলত আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।” তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারে উচ্চরক্তচাপের রোগী আছে।উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত ৫০ ভাগ রোগী জানেন না তিনি এতে আক্রান্ত এবং আক্রান্তদের মাত্র ৫০ ভাগ চিকিৎসা গ্রহণ । সামগ্রিকভাবে চিকিৎসা নিশ্চিত ও জনসচেনতা বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি সুধী মহলকে এগিয়ে আসতে আহবান জানান তিনি। কোর্সের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি আশা প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা এই কোর্সে অংশগ্রহণ করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে। আপাতত রংপুরে শুরু হলেও পরবর্তীতে ঢাকায় এই কোর্স শুরু করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য –
রিপোর্টার : ডা. ফয়সাল বিন সালেহ