“আবার আসিব ফিরে কীর্তনখোলার তীরে
হয়তো বা যুবক নয় বয়ো:জেষ্ঠ বা বৃদ্ধের বেশে”
মানুষই একমাত্র আবেগপ্রবন প্রানী।তাকে আবেগতাড়িত করে তার ফেলে আসা স্মৃতি।
সময়ের বহমানয়তায় হারিয়ে যায় সব কিছু।ঠিক নতুন তৈরী করা ইমারতটাও এক সময় জীর্ন শীর্ন হয়ে যায়।আজকে জন্ম নেয়া বাচ্চাটাও এক সময় বার্ধক্যে আক্রান্ত হবে।
নিত্য পরিবর্তনীয় এই বিশ্বব্রমান্ডে তারপর ও কিছু অপরিবর্তনীয় অতীত থেকে যায় যাকে আমরা স্মৃতি বলি।
সুুখস্মৃতিগুলো তৈরী হয় মানুষের কাটানো মধুর কিছু সময় নিয়ে।আর এরকম সুখস্মৃতি বেশির ভাগই থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘিরে।কারন এখানেই তার হৃদয়ে একটা গুপ্ত শক্তি স্থপিত হয় যেই শক্তি বলে সে বাকি জীবন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবনের কঠিন সময়গুলোকে পার করতে পারে অনায়াসে।
আর এই স্মৃতিপটে ভেসে থাকা কিছু সময়ের জন্ম দেয়ায় শেবাচিমের জুড়ি নেই।শেবাচিমের আলো বাতাস, মাঠ, পুকুর যেন এক নিপুন মুগ্ধতার সৃষ্টি করে।হাটি হাটি পা পা করে ৫০ বছর অতিবাহিত করলো এই প্রানের শেবাচিম। এক এক বছর অতিবাহিত হচ্ছে আর শেবাচিম নামক যৌথ পরিবারের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। মায়ের মতো পরম মমতায় প্রতিটা সদস্যকে আগলে রাখছে আবেগের এই শেবাচিম।
গত ৭,৮,৯ অক্টোবর ৩ দিন ব্যাপী “সেবাব্রতে ধ্বনিত হোক জীবনের জয়গান”এই মূলমন্ত্রে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ,বরিশালের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বৈচিত্রময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি কে অলঙ্কৃত করার জন্য উপস্থিত ছিলেন দেশ বিদেশ থেকে আগত প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
৭ অক্টোবর অনুষ্ঠানের প্রথম দিন রেজিস্ট্রেশন কিট বিতরনের মধ্য দিয়ে দক্ষিনবঙ্গের সবচেয়ে জমকালো অনুষ্ঠানের শুরু হয়।এরপর সকালের নাস্তা ও মধ্যাহ্নভোজ বিতরন করা হয়।
দুপুরে এক চমৎকার বৈজ্ঞানিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় কলেজ গ্যালারীতে।এরপর খেলাধূলা ও চা চক্রের পর সন্ধ্যায় জুয়েল আইচের জাদু ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিমোহিত হয় প্রত্যেকটি এসবিএমসিয়ান।
৮ অক্টোবর উৎসবমুখর পরিবেশে র্যালিতে অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কার্যক্রম। এরপর নবনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন,স্মৃতিচারন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনের প্রথম ভাগের কার্যক্রম শেষ হয়। স্মৃতিচারন করতে গিয়ে অনেকেই আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতৃক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুবর্নজয়ন্তী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করায় অনুষ্ঠানটি এক ভিন্ন মাত্রা পেলো।এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও বি এম এ এর নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানের এ অংশটুকু একযোগে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে।
এর পর সন্ধ্যায় মন্চ মাতালেন কুমার বিশ্বজিৎ ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষ দিন স্মৃতিচারন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১ম পর্বের কার্যক্রম।এরপর সন্ধ্যায় ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় ও ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম দুই ব্যান্ড এসেজ ও আর্টসেলের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি পূর্নতা পায়।
অনুষ্ঠানটির প্রতিটি দিন ই বিভিন্ন গেম শো অনুষ্ঠানকে আনন্দঘন করে রাখে।
প্ল্যাটফর্ম নিউজ ডেস্ক/ফিচার রাইটার,
নাহিদ নিয়াজ
৪৮ তম ব্যাচ, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ।