ফ্রাস্ট প্রফ প্রায় সব মেডিকেল স্টুডেন্টদের জন্যই বিভীষীকাময়। তার উপরে যদি হয় আরো ৩ মাস ঝুলিয়ে রাখার পর প্রফের ডিক্লারেশান। হুম বি.ডি.এস ফ্রাস্ট প্রফের কথাই বলছি। যাই হোক অনেক সাধনার পর তোমরা আগামি ১৫ তারিখ থেকে ফার্স্ট প্রফ পরীক্ষা দিতে যাচ্ছ।অনেক শুভকামনা তোমাদের জন্য। আশা করি সব ভালই হবে। সেই সাথে প্ল্যাটফর্ম এর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য রইল কিছু টিপস। যেগুলা পরীক্ষার আগে জানা খুবই প্রয়োজন। আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু জানি ততটুকুই শেয়ার করছি। আশা করি তোমাদের কাজে দিবে।
১৫ তারিখ যেহেতু প্রথম এনাটমি পরীক্ষা, সেহেতু সবার এখন ধুমায়ে এনাটমি ই পড়তেস,
এই মুহূর্তে কিছু টিপস ফলো করলে তোমার প্রিপারেশানটা হয়ে উঠবে আরো ভাল।যেমন
১. সবার আগে যেটা করা উচিত,লাস্ট ৫ বছরের প্রশ্ন সলভ করে রাখা যেটার কোন বিকল্প নেই
২. এনাটমি একটা ব্যাসিক সাবজেক্ট আর ব্যাসিক সাব্জেক্ট এ সাব্জেক্টিভ এর জন্য কিছু সিলেক্টেড প্রশ্ন পড়লেই হয়,, ফিজিওর মত রিটেন এর জন্য এত বেশি পড়তে হয়না।
৩. প্রায় কম বেশি সবার ই হিস্টোলজি নিয়ে একটা ফোবিয়া থাকে মনে হয় হিস্টোলজি যা ই পড়ি তাই ভুলি। তবে আমি বলব এটা নিয়ে এত প্যানিক করে জেনারেল এনাটমির প্রিপারেশান খারাপ করার কোন মানেই হয়না।হিস্টোলজি এ গ্রুপে থাকে আর একটু পচা প্রশ্ন করে তবে সেটা ১০% এর বেশি না তাই নরমালি ই প্রিপারেশান নেওয়া উচিত
৩.উত্তর এ ছবি এড করা। এইটা খুব ভাল একটা টেকনিক। একটা প্রশ্নের উত্তর যেমন ৩ পেইজ লিখে ভাল মার্ক পাওয়া যায়না তেমনি ১ পেজ লিখে একটা ডায়াগ্রাম দিয়ে দিলে অনেক ভাল মার্ক পাওয়া যায় সাথে টাইমটাও লস কম হয়। চেষ্টা করবে যেগুলা কালারফুল ফিগার সেগুলা প্রথমেই কালার পেন্সীল ইউজ করে ড্র করতে।
৪. কিছু প্রশ্ন আসে টু দ্যা পয়েন্ট উত্তর। যেমনঃ ব্রাঞ্চ ওফ অমুক তমুক নার্ভ এই গুলা খুব ভাল করে রপ্ত করবা কেননা এইগুলাতে ফুল মার্ক উঠানো যায়।
ফিজিওলজি সবাই জানি ফিজিও অনেক বিশাল সিলেবাসের একটা সাবজেক্ট। তবে আমি বলব সিস্টেমেটিক্যালি পড়লে এই বড় সাব্জেক্টকেও সহজে আয়ত্ব করা যায়।
১. যেহেতু অনেক গুলা সিস্টেম পড়তে হয় এবং প্রত্যেকটা সিস্টেম থেকেই কিছু প্রশ্ন সবসময় রিপিট হয় তাই সেসব প্রশ্ন গুলা সিলেক্ট করে পড়ে ফেলা আর ৫ বছরের প্রশ্নের তো বিকল্প নেই ই।
২. যেটা মোস্ট ইম্পরট্যান্ট সেটা হল ফিজিওর প্রশ্নগুলা অনেক ইলাবরেটলি লিখতে হয় নাহলে ভাল মার্ক পাওয়া যায় না তাই যেটা করবা সেটা হল পরীক্ষার হলে এন্সার পয়েন্ট আউট করে লিখতে।তাতে উত্তরের প্রেজেন্টেশন ও ভাল হবে ভাল মার্ক ও পাওয়া যাবে।
এস_ডি_এম ইটস ব্যাসিক সাব্জেক্ট ফর ওল ডেন্টাল স্টুডেন্টস তাই এটার প্রিপারেশান এর জন্য কিছু রুলস ফলো করলেই অনেক ভাল করা যায় যেমন
১.প্রথমেই ৫ বছরের প্রশ্ন সলভ করা
২.সব প্রশ্ন মুখস্থ না করে বুঝে নিজের মত করে সাজিয়ে নেওয়া
৩.অবশ্যই অবশ্যই চেষ্টা করা সব প্রশ্নে ফিগার এড করা
৪.এখানে কয়েক টা প্রশ্ন হয় ক্লিনিক্যাল তাই ক্লিনিক্যাল প্রশ্ন গুলা ও সলভ করা এবং মাথায় আইডিয়া রাখা।
৫. এস.ডি.এম এ অনেক কিছু প্রপার্টি মুখস্থ করতে হয় সেটা যদি আগে থেকেই টেকনিক্যালই পড় তাহলে খুব হেল্প হবে পরীক্ষার হলে। শেষ মুহূর্তে উচিত সব কিছু কোরিলেট করে পড়া।
আর ৩ সাবজেক্ট এর জন্যই বলব পরিক্ষার হলে যেটা করবে সেটা হল, রোল নাম্বার, রেজিস্টেশান নাম্বার ঠিকমত লিখবে,, প্রশ্ন পাওয়া মাত্রই তাড়াহুড়ো না করে দুইটা গ্রুপ ই ভাল করে পড়বে এবং ঠিক করবে কোন গ্রুপ আগে এন্সার করবে,, মনে রাখবে দুইটা গ্রুপের খাতা ই বাইরে যাবে সো দুইটা গ্রুপ এই ভাল করতে হবে।
অবশ্যই সব প্রশ্নের এন্সার করবে যেটা পাশ মার্ক তোলার জন্য অনেক ইম্পরট্যান্ট। সময় ভাগ করে নিবে, একটা গ্রুপ বেশি ভাল লিখে অন্য গ্রুপ পচা করে লিখে কোন লাভ নেই।
আর তোমাদের সবার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।ইন-শা-আল্লাহ তোমাদের সবার পরীক্ষা অনেক ভাল হবে।
লিখেছে ঃ নাবিলা নাজরিন,সাফেনা উইমেন ডেন্টাল কলেজ