বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষনায় বের হয়ে এসেছে এক ভয়াবহ তথ্য । ব্যাকটেরিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার হাতিয়ার হিসেবে নতুন এন্টিবায়োটিক এর স্বল্পতা রয়েছে বলে আজ প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ।
নতুন যেসকল এন্টিবায়োটিক সামনে বাজারে আসতে পারে, তার বেশিরভাগই ইতিমধ্যে প্রচলিত এন্টিবায়োটিক এর কিছুটা পরিবর্তিত রূপ এবং এগুলো শুধুমাত্র স্বল্পমেয়াদী সমাধানই হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে আরো বলা হয় , শুধ্মাত্র এন্টিবায়োটিক রেজিট্যান্সের জন্যে বিশ্বে প্রতি বছর ২,৫০,০০০ মানুষ মারা যায় এবং এই সমস্যার সমাধান এখনই করা না গেলে এটি হবে মানবজাতির জন্যে বিশাল এক হুমকি ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল ডা. টেড্রোর এডহানোম গেব্রিয়েসাস বলেন, অতি দ্রুত এন্টিবায়োটিক রেজিট্যান্স নিয়ে গবেষনা করা দরকার নাহয় সে দিন খুব বেশি দূরে নয় যখন মানুষ আবারো সেই সময়ে ফিরে যাবে যখন সাধারন সংক্রমনকে মানুষ ভয় পেত এবং ছোট খাটো ক্ষত থেকেই মৃত্যুঝুকিতে পড়তো ।
গবেষনায় বেরিয়ে আসে মাল্টিড্রাগ রেজিট্যান্ট টিউবারকুলোসিস, গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া যেমন একটিনোব্যাকটার, এন্টারোব্যাক্টেরিয়া এর বিরুদ্ধে কার্যকরি এন্টিবায়োটিক গুলো দ্রুত কার্যকারিতা হারাচ্ছে এবং নতুন এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার না হলে এদের বিরুদ্ধে টিকে থাকা মানবজাতির জন্যে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত হবে ।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন , এন্টিবায়োটিক এর কোর্স কমপ্লিট না করা , ফার্সেমীওয়ালাদের অতিরিক্ত মুনাফার আশার সামান্য ভাইরাল জ্বর, পাতলা পায়খানায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের অন্যতম কারন ।